সংগৃহীত
Bangla jago desk: ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রাণদণ্ডের সাজা দিতে বিধানসভায় পাস হয়েছে অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল- ২০২৪। বিধানসভায় পাস হওয়া সেই বিল এখন রাজ্যপালের কাছে রয়েছে। এরমাঝে রাজ্যপাল টেকনিক্যাল রিপোর্ট চান। এবিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, জানান, টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন,সিভিআনন্দ বোস দ্রুত এই বিলে স্বাক্ষর করবেন।এদিকে, নয়া মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। যদিও সেটা সৌজন্য সাক্ষাত বলে জানানো হয়েছে।
দেশজুড়ে বেড়ে চলা,ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় ঘটনা রুখতে কঠোরতম আইন প্রণয়ন করতে চায় বাংলার সরকার। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো কাজ করতে বিধানসভায় পাস হয়েছে অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪। সর্বসম্মতভাবে সেই বিল পাস করা হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। বিলটি এখন রাজ্যপালের কাছে রয়েছে। রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোস বিলটি হাতে পাওয়ার পর টেকনিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে পাঠান।
উল্লেখ্য, বিল কেন আনা হয়েছে, কী ভাবে আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। বিস্তারিত রিপোর্টকে বলা হয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট। এইবিষয়ে বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জবাবে জানান, রাজ্য সদিচ্ছার সঙ্গে এইধরণের কঠোরতম আইন পাস করাতে চায়। বিধানসভায় পাস হওয়া বিল নিয়ে রাজ্যপাল তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে থেকে ভূমিকা পালন করতে পারেন। এইবিষয়ে টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। আশা করেন,রাজ্যপাল বিলে স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।
কেন এই অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল-২০২৪ আনা হল? কোন পরিস্থিতি এই বিল আনার ক্ষেত্রকে তরান্বিত করেছে, তা রাজ্যের তরফে ব্যাখা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে বিধানসভায় এই বিল পাসের আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানতে চান, অপাজিতা বিল কী কার্যকর হবে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে গিয়ে জানান, বিলটি কার্যকর করার জন্য সবরকম প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, তবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই আইন কার্যকর করা যাবে। এই অবস্থায় তিনি রাজ্যপালের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য বিজেপি বিধায়কদের উদ্যোগ নিতে বলেন। এখন রাজ্যপাল টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ করেন তার দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন,আরজি করের ঘটনা জনমনে আলোড়ন তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষ চায় নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হোক। ভিনরাজ্যের সঙ্গে বাংলার প্রেক্ষাপট আলাদা বলেও উল্লেখ করেন স্পিকার।
তৃণমূল কংগ্রেসও স্পষ্ট করেছে,তাঁরা বাংলার সরকারের ধর্ষণ রদে এই কঠোরতম আইন পাসের পক্ষে। রাজ্যপাল যদি কোনওরকম টালবাহানা করেন, তাহলে রাজভবনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতেও তাঁরা পিছপা হবেন না। তাই রাজ্যপাস কবে এই বিলে সই করেন,সবটাই লক্ষ্যনীয়।