নিজস্ব ছবি
Bangla Jago Desk: ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন। ধাপা মাঠপুকুর এলাকার ঘটনা। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন তৎপরতা চলছে।
[ আরও পড়ুন: Chopra case: চোপড়া কাণ্ডের ছায়া জলপাইগুড়ির ফুলবাড়িতে, কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের, গ্রেফতার ৪]
তবে কেমিক্যালের গোডাউন হওয়ার কারণে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ধাপা মাঠপুকুর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত এক মাসে শহরের একাধিক এলাকায় বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ।অ্যাক্রোপলিস মল থেকে শুরু করে বড়বাজারের মেহতা বিল্ডিং – ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পার্ক স্ট্রিটেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এবার মাঠপুকুর এলাকায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এই মুহূর্তে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। ওই গোডাউনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি বুঝে আরও দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হবে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। শহরে এত ঘনঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন শর্টসার্কিট থেকে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সে নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যথাযথ নিয়ম মেনে যাতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখা হয় সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধাপা মাঠপুকুর এলাকায় এই কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা প্রশ্নের মুখে। তবে যেহেতু এই মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ আঁকা নিয়েছে বোঝা কঠিন সেখানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কিনা।
ওই গোডাউনে প্রচুর পরিমাণ মোবিল মজুত ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। জনবহুল এলাকা। আশপাশে রয়েছে বহু বাড়ি। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, প্রয়োজনে দমকলের ইঞ্জিন আরও বাড়ানো হবে। আগুন যাতে আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। বহু জনবসতি রয়েছে। প্রয়োজনে ফোম ব্যবহার করা হবে আগুন নেভাতে।