Bangla Jago Desk: ছট পুজো আসন্ন। গঙ্গার ঘাটে ঘাতে উপচে পড়বে পুণ্যার্থীর ভিড়। সেই পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হল। যেখানে রেল, পোর্ট ট্রাস্ট, পিডব্লুডি, দমকল, সিইএসসি, নেভি ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা ছিলেন। পুরসভার লক্ষ্য, নির্বিঘ্নে আয়োজন সম্পূর্ণ করা যাতে পুণ্যার্থীর কোনও সমস্যা না হয়।
ছট পুজো নিয়ে কলকাতা পুরসভার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বুধবার। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে হয় বৈঠক। বৈঠকে রেল, পোর্ট ট্রাস্ট, পিডব্লুডি, দমকল, সিইএসসি, নেভি ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা ছিলেন। ছট পুজোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। দই ঘাট, তক্তা ঘাট-সহ একাধিক জায়গায় হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ভিড় হবে। কীভাবে কাজ করবে প্রশাসন তার রূপরেখা ঠিক করতেই এই বৈঠক। গঙ্গার ঘাট ছাড়াও বিভিন্ন ঝিল ও জলাশয়ে ঘাট-সহ উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়।
মেয়র জানান, কেএমডি-এর ৪০টি ঘাট আছে। কলকাতা পুরসভা অস্থায়ীভাবে ১৮টি ঘাট তৈরি করবে। স্থায়ীভাবে আছে ২২টি ঘাট। পুরসভা এবং কেএমডি-এর ৪০টি করে মোট ৮০টি ঘাট তৈরি থাকবে ছট পুজোর জন্য। কলকাতা পুরসভার তরফে কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা হচ্ছে ৬টি। এছাড়াও দইঘাট ও তক্তা ঘাট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তক্তাঘাটে নেভির অনুমতি প্রয়োজন। সেটা নেওয়া হল যাতে পুরসভা গিয়ে কাজ করতে পারে। দই ঘাটেও অন্যান্য বছরের মতোই ব্যবস্থাপনা করবে কলকাতা পুরসভা।
নিমতলা ঘাটের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই জায়গাটাকে বিপজ্জনক হিসেবে ঘিরে রাখবে যাতে সাধারণ মানুষ সেখানে না যেতে পারে। বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় জল অনেকটা ওপরে উঠেছিল তাই অনেক ঘাটেই শ্যাওলা বা নোংরা হয়ে আছে। সেগুলি অবিলম্বে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। অন্যান্য বছরের মতোই চেঞ্জিং রুম এবং নতুন করে ঘাটে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ করা হবে।
পর্যাপ্ত আলো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে পুরসভার তরফে। রবীন্দ্র সরোবর আগেই এনজিটি-র নির্দেশমতো বন্ধ রাখা হয়েছে ছট পুজোর জন্য। বিকল্প হিসেবে অনেকগুলো ঘাট তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো স্বাভাবিক ভাবেই থাকছে। বেঙ্গল ল্যাম্পেও গত বছর থেকে সমস্যা হচ্ছে। তার বিকল্প কোন ঘাট রয়েছে পুলিশকে তা নির্দেশ করতে বলা হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ ছট পুজো করতে গিয়ে ফিরে না আসতে হয়।