চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার হচ্ছে একের পর এক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। বাংলাজুড়ে বেড়েছে জঙ্গিদের দাপাদাপিও। এই পরিস্থিতিতে জাল পাসপোর্টকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অনুপ্রবেশকারীদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য নির্ধারিত ১৫০০ টাকা ফি কেন্দ্রের ঘরে জমা পড়েছে মাত্র একটি ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই। প্রশ্ন উঠছে নিয়ম বাইরে গিয়ে এই কাজ হওয়ার পরেও বিষয়টি আরপিও-র (রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস) নজর এড়াল কীভাবে? মোট কত আবেদনের ফি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে গেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরপিও-র পাঁচ কর্মী এখন গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরে ভাবনা হোন নতুন কিছু]
শুধু তাই নয়। তদন্তে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। একই দিনে একাধিক পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এবং নির্দিষ্ট একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে এই আবেদন জমা পড়েছে।
[আরও পড়ুন: শীতের রাতে মোজা পরে ঘুমোতে যাচ্ছেন, ঠিক না ভুল জানেন কি ?]
সাধারণত, ফি সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর অ্যাকাউন্ট থেকেই যাওয়ার কথা, যাতে ওই অ্যাকাউন্ট যে আবেদনকারীরই, তার প্রমাণ মেলে। কিন্তু, এখানে সব আবেদনকারীর টাকাই জমা পড়েছে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।
এ নিয়ে অভিযুক্ত সমরেশ বিশ্বাস জেরায় জানিয়েছেন, এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তিনিই খুলেছিলেন। তবে, পাসপোর্ট যাচাইয়ের সময় এই বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেলেও, পাসপোর্ট অনুমোদনের সময় এটি ধরা পড়ে যাওয়ার কথা। তাও কেন ধরতে পারলেন না আরপিও অফিসারেরা? ঠিক এখানেই ষড়যন্ত্র দেখছেন গোয়েন্দারা। তদন্তে উঠে আসে, সমরেশের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় আরপিও-র আধিকারিকরা তা জেনেও এড়িয়ে গেছেন। এবার জাল পাসপোর্টগুলির যাচাই ও অনুমোদনকারী অফিসারদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। এই আধিকারিকদের জেরা করে কী তথ্য উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।