সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ইরান-ইজরায়েলের সংঘাত। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পক্ষে বিপক্ষে পার্শবর্তী দেশগুলিতেও বাজতে পারে যুদ্ধের দামামা। যদি তা হয় তাহলে, গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক খাতে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে। আর এসবের মধ্যে মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত ভারত। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে, কূটনীতি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে দিল্লি।
#WATCH | EAM Dr S Jaishankar says, “… We regard October 7 as a terrorist attack. We understand that Israel needed to respond, but we also believe that any response by any country has to take into account international humanitarian law and that it must be careful about any… pic.twitter.com/inGpavn01Y
— ANI (@ANI) October 2, 2024
মার্কিন সফর থেকে জয়শঙ্কর বলেন, “কঠিন সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগ তথা সম্পর্কের গুরুত্বকে ছোট করা যাবে না। যদি কিছু বলার থাকে, যদি কোনও ভাবে কাজে আসি আমরা, তবে সেটা করব।” এর সাথে তিনি আরও বলেন যে, “শুধু লেবাননে যা ঘটেছে তাই নয়, হুথি, লোহিত সাগর, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত চলছে তার ভবিষ্যত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
[ আরও পড়ুন: দেশ- কে সুরক্ষিত রাখার কাজে এগিয়ে আসছে নারীরা]
এমনকি যুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে কড়া মতামত দিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “৭ অক্টোবরে জঙ্গি হামলা হয়েছিল বলেই মনে করি আমরা। বুঝি যে ইজরায়েলকে জবাব দিতে হত। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করি যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়া যেন আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইনকে বিবেচনায় রেখেই হয়। সাধারণ নাগরিকদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্যোগ নিতে হবে।”
[ আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা দেবীপক্ষের, আলোকময় দেবীপক্ষের আগমন মহালয়ায়]
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইজরায়েলের উপর হেজবোল্লা প্রধান নাসরাল্লার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রায় ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। জানা গিয়েছে, এর সঙ্গে তেল আভিভেও সশস্ত্র জঙ্গির হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ইরানকে এই ভুলের মূল্য চোকাতে হবে পালটা হুঙ্কার দিয়েছেন নেতানিয়াহুর। বর্তমানে ক্রমশ যুদ্ধের স্ফুলিঙ্গ বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। চিন্তিত সাধারণ মানুষ।