চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের সম্পর্কে টানাপোড়েন লেগেই ছিল। শুল্কযুদ্ধ, কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব, মানবাধিকার ইস্যু সবকিছু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছিল চরমে। অথচ এবার এক আশ্চর্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের প্রতি হঠাৎ করেই চিনা সংবাদমাধ্যমগুলোর মনোভাব নরম হয়ে উঠেছে।
এর কারণ, ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে ‘ভয়েস অফ আমেরিকা’, ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’সহ মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত কিছু স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই সংবাদমাধ্যমগুলো দীর্ঘদিন ধরে চিনের সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির নীতি-নৈতিকতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন, তাইওয়ান ও হংকং নিয়ে চিনের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করে আসছিল। ফলে বেজিংয়ের জন্য এগুলো ছিল চরম অস্বস্তির কারণ।
[আরও পড়ুন: লক্ষাধিক টাকা সহ সর্বস্ব লুঠ, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ]
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত চিনের জন্য বড় সুবিধা এনে দিয়েছে। কারণ, এখন থেকে আন্তর্জাতিক মহলে চিনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার মতো শক্তিশালী কোনও প্ল্যাটফর্ম থাকবে না। এই সিদ্ধান্তে বেজিংয়ের আনন্দ ধরা পড়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
চিনের সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ তাদের সম্পাদকীয়তে ‘ভয়েস অফ আমেরিকা’-কে ‘মিথ্যার কারখানা’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, এতদিন ধরে দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ান, হংকং, করোনা মহামারির উৎপত্তি এবং চিনের অর্থনীতি নিয়ে ‘ভুয়া’ তথ্য ছড়িয়েছে এই মার্কিন সংবাদমাধ্যম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের সম্পর্ককেই বদলে দেবে না, বরং স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্রের ওপরও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আসলেই কি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষা করবে, নাকি চিনের জন্য আরও সুবিধার সুযোগ তৈরি করবে?