গ্রাফিক্স: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: চার দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আবহে এবার ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে মার্কিন দূতাবাসের উপর আছড়ে পড়ল (US embassy) ইরানের ছোড়া মিসাইলের অংশ। সোমবার সকালেই ঘটেছে এই ঘটনা। মার্কিন দূতাবাসের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনও প্রাণহানির খবর নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় দিনভর বন্ধ রাখা হয়েছে দূতাবাস।
দূতাবাসের উপর মিসাইল পতনের খবর সামনে আসতেই ফের প্রশ্ন উঠেছে— এবার কি সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে আমেরিকা? রবিবারই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট(US embassy) ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমেরিকার কোনও পরিকাঠামো নিশানা হলে তার শেষ দেখে ছাড়ব।” কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ছুঁড়ে দিল মিসাইল! মার্কিন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ঘিরে তাই চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য কার্যত রণক্ষেত্র। একদিকে ইজরায়েলের টানা বিমান হামলায় ইরানে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩০-এ। অন্যদিকে ইরানের পালটা হামলায় ইজরায়েলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরান আজ সকালেই ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রক ও অস্ত্রভবনে মিসাইল নিক্ষেপ করে।
Bangla Jago fb: https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
অন্যদিকে ইজরায়েল দাবি করেছে, ইরানের ছোড়া একাধিক মিসাইল তাদের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বংস করা গিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ভেদ করেই ঢুকে পড়েছে তেল আভিভে— যার জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন দূতাবাস।(US embassy) মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতে, কর্মীদের কেউ আহত হননি। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দূতাবাস সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই ইরান ও ইরাক থেকে মার্কিন কর্মীদের সরানো হচ্ছিল। মার্কিন বিদেশসচিব জানিয়েছেন, ইজরায়েলি হামলায় আমেরিকার সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু ইরান যদি আমেরিকার নাগরিক বা সম্পত্তিকে নিশানা করে, তাহলে আমেরিকা প্রতিশোধ নেবে— এই হুঁশিয়ারি আগেই দেওয়া হয়েছিল। এবার কি সেই হুঁশিয়ারি সত্যি হবে? ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের পথে হাঁটবে আমেরিকা? উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।