ad
ad

Breaking News

US Army

মার্কিন সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারি

শুধু সেনাবাহিনী নয়, মেয়েদের খেলায় রূপান্তরকামী অ্যাথলিটদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে কয়েকদিন আগেই।

US bans transgender people from joining the military

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: মার্কিন সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের যোগদানের উপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকদিন আগেই একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছিলেন, যার ফলে সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের নিয়োগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল।

‘ইউএস আর্মি’ তাদের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছে, “মার্কিন সেনাবাহিনী আর রূপান্তরকামীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেবে না। পাশাপাশি, যারা ইতিমধ্যেই কর্মরত, তাদের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা বা অন্যান্য সম্পর্কিত সুবিধাও বন্ধ করা হল।” অর্থাৎ, চাকরিরত অবস্থায় কেউ লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময়ই ট্রাম্প সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। কিন্তু জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এবার ক্ষমতায় ফিরে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ট্রাম্প পুরনো নিয়ম ফের চালু করলেন।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলন মাস্কের মেয়ে ভিভিয়ান জেন্না উইলসন, যিনি নিজেও একজন রূপান্তরকামী। তিনি আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলেই রূপান্তরকামীদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসবে, যা সত্যিই বাস্তবে পরিণত হলো।

মার্কিন সেনাবাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ১৩ লক্ষ কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আনুমানিক ১৫ হাজার রূপান্তরকামী সদস্য রয়েছেন। যদিও অন্য কিছু সূত্র দাবি করছে, এই সংখ্যা ১ হাজারেরও নিচে। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেনাবাহিনীতে কর্মরত রূপান্তরকামীদের এখনই বরখাস্ত করা হচ্ছে না। প্রতিরক্ষা সচিব নিশ্চিত করেছেন, যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।

শুধু সেনাবাহিনী নয়, মেয়েদের খেলায় রূপান্তরকামী অ্যাথলিটদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে কয়েকদিন আগেই। ট্রাম্প আরও চাচ্ছেন, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের আগেই মহিলাদের প্রতিযোগিতা থেকে রূপান্তরকামীদের পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির উপর চাপ সৃষ্টি করা হোক।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন ও বিরোধিতা—দুই দিক থেকেই প্রতিক্রিয়া আসছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে, অন্যদিকে, ট্রাম্পপন্থীরা একে সামরিক শৃঙ্খলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।