চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় জমানা শুরু হতেই অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চুরি, ছিনতাই বা লুটপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় করতে নতুন আইন আনতে চলেছে আমেরিকার প্রশাসন। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সংক্রান্ত বিলটি আমেরিকার সেনেটে পাশ হয়েছে।
সেনেটে ৬৪-৩৫ ভোটে পাশ হওয়া বিলটি এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসে পাঠানো হবে। সেখানেও বিলটি সহজেই পাশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পর ট্রাম্পের সইয়ের মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হবে। এই আইন অনুসারে, চুরি বা ছিনতাইয়ের মতো অভিযোগ থাকলে অভিবাসীদের আটক করতে পারবে আমেরিকার ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্স এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই)।
গত বছর জর্জিয়ায় নার্সিং পড়ুয়া লেকেন রাইলির হত্যার অভিযোগ উঠেছিল ভেনেজুয়েলার এক নাগরিকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলটি আনা হয়েছে এবং এটি রাইলির নামেই পরিচিত হবে।
ট্রাম্পের কড়া অবস্থান
ডোনাল্ড ট্রাম্প বহু দিন ধরেই অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনার কথা বলে আসছেন। নির্বাচনী প্রচার এবং বিজয় ভাষণেও তিনি জানিয়েছেন, “আমরা চাই না অপরাধীরা আমাদের দেশে আসুক।” তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী, লক্ষ লক্ষ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে ডিপোর্ট করা হবে। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ এগোবে।
উদ্বেগ ও প্রতিবাদ
অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই এই বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এই আইন কার্যকর হলে অনেক নিরীহ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে। পাশাপাশি, অভিবাসন আইন প্রয়োগে প্রশাসনের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হবে।
অন্যদিকে, আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও প্রদেশের প্রশাসন অভিবাসন আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হলে সেই প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।