চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: অবৈধ অভিবাসীদের উগ্র বিক্ষোভ নিয়ে এবার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনা দেশের শান্তি ও আইনশৃঙ্খলার উপর আক্রমণের উদাহরণ। (Los Angeles)এরপর বিক্ষোভকারীদের দিকে পাল্টা অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তিনি জানান যে তাঁরা অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছেন হাতে বিদেশি পতাকা নিয়ে। শেষে প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প এবং জানান যে এই করুন পরিস্থিতি থেকে তাঁর প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: Commercial Vehicles: ফিট থাকলেই হিট!” – ১৫ বছরের পুরনো গাড়িও এবার চলবে
চলতি বছরে জো বাইডেনকে পরাজিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার শপথ নেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। কুরসিতে বসেই তিনি নিয়ে চলেছেন একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত। (Los Angeles)পাশাপাশি, তৈরি করে চলেছেন একাধিক নতুন আইন। দীর্ঘদিনের বন্ধু টেসলা কর্তা এলেন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যন্ত খারাপ হয়েছে তাঁর। বলা বাহুল্য, বর্তমানে তিনি ছড়ি ঘোড়াচ্ছেন গোটা বিশ্বের উপর।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বড় সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি দেশে অনুপ্রবেশ আটকানো। তা রুখতে গিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানোর পাশাপাশি চালু করেছেন ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’। তবে এবার এই অধ্যায় চলে গেল চরম পর্যায়ে। লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় দেখা যায় উগ্র বিক্ষোভ। ট্রাম্প ২০০০ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেও তা আসেনি কাজে। বরং আরো ঝাঁজ বাড়ান বিক্ষোভকারীরা (Los Angeles । পরে আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিনবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
Bangla Jago fb: https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
এবার এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উত্তর ক্যারোলাইনার সেনাছাউনিতে তিনি আসেন সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানে নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের সেনারা বিদেশে রক্ত ঝরাননি এই দিনের জন্য। দেশের আইন, শান্তিশৃঙ্খলা ও স্বশাসনের উপর আক্রমণ হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনায়। আন্দোলনকারীরা বিদেশি পতাকা হাতে নিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করবে।”
যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টার বক্তব্য, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করে বাহিনী মোতায়েন করে সীমা অতিক্রম করেছেন ট্রাম্প। তবে এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি দাবি করেছেন যে পরিস্থিতি অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েন করা দরকার ছিল। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো জানিয়েছেন যে সেনারা ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের রক্ষা করার পাশাপাশি গণতন্ত্রকে রক্ষা করছে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত জল কতদূর গড়ায়।