ad
ad

Breaking News

Donald Trump

শুরু প্রতিশোধের খেলা! বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র বাতিল করল ট্রাম্প

ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের উপর প্রভাব পড়তে পারে—এটা আগেই বুঝেছিলেন বাইডেন। তাই ১০ জানুয়ারি, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার আগেই, তিনি ড. অ্যান্টনি ফাউচি ও প্রাক্তন সেনা প্রধান মার্ক মাইলিকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন’ দেন।

The revenge game begins! Trump revokes Biden's special clearance

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: আমেরিকার রাজনীতিতে প্রতিশোধের খেলা আবারও শুরু! প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসার পরই জো বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে বাইডেন আর কোনও গোপন সরকারি নথি দেখতে পারবেন না।

শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে (প্রাক্তন টুইটার) ট্রাম্প লিখেছেন, “জো বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা তাঁর বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি।” তিনি আরও বলেন, বাইডেনই ২০২১ সালে এই নিয়ম তৈরি করেছিলেন, যখন তাঁর (ট্রাম্পের) বিশেষ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছিল। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন ট্রাম্প।

বদলার রাজনীতি?

২০২১ সালে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন বাইডেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, “ট্রাম্প দেশের গোপন তথ্য পাওয়ার যোগ্য নন।” বিশেষ করে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি করলেন ট্রাম্প।

কী এই বিশেষ ছাড়পত্র?

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত কিছু বিশেষ সুবিধা পান। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গোপন নথি দেখার অধিকার। তাঁরা গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও সিআইএ-এর গোপন তথ্য পেতে পারেন, সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ পান। বাইডেন ক্ষমতায় এসেই এই সুবিধা ট্রাম্পের থেকে কেড়ে নিয়েছিলেন। এবার ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে একই সিদ্ধান্ত নিলেন বাইডেনের ক্ষেত্রে। 

 

বাইডেনকে কটাক্ষ ট্রাম্পের

বাইডেনের স্মৃতিশক্তি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, “বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি খুবই কম। তাঁকে গোপন নথি দেখানো নিরাপদ নয়।” তিনি আরও দাবি করেন, বাইডেনের সময় শেষ এবং তিনি এবার “মহান আমেরিকা গড়বেন”।

ফাউচি ও মাইলির ‘রক্ষাকবচ’

ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের উপর প্রভাব পড়তে পারে—এটা আগেই বুঝেছিলেন বাইডেন। তাই ১০ জানুয়ারি, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার আগেই, তিনি ড. অ্যান্টনি ফাউচি ও প্রাক্তন সেনা প্রধান মার্ক মাইলিকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন’ দেন। সাধারণত অপরাধীদের জন্য এই ক্ষমার ব্যবস্থা থাকলেও ফাউচি ও মাইলির বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত বা মামলা নেই। তবুও বাইডেন তাঁদের এই সুরক্ষা দিয়েছেন, যাতে ট্রাম্প তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন।

২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প আক্রমণাত্মক অবস্থানে। তাঁর এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করছে যে, ক্ষমতায় ফিরেই তিনি প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছেন। এখন দেখার, বাইডেন এর প্রতিক্রিয়ায় কী করেন!