Bangla Jago TV Desk : গাজা ইসরায়েলের রক্তাক্ত সংঘাতের এক মাস পার হয়েছে। সাতই অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমন করতে থাকে ইসরায়েল। হামাসের আক্রমণে আগেই রক্তাক্ত হয়েছে ইজরায়েল। তাদের দোসর হয়ে লেবানন থেকে আক্রমণ শুরু করেছে শিয়া জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা। ইরানের মদতপুষ্ট এই জেহাদিদের হামলায় মৃত্যু হয় ইজরায়েলের এক শীর্ষ সেনা আধিকারিকের।
সূত্রে খবর, রবিবার রাতে লেবানন সীমান্তে ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে তীব্র লড়াই হয় হেজবোল্লা গোষ্ঠীর। নুরিত এলাকার সেনা ঘাঁটিতে হামলায় মৃত্যু হয় এক ইজরায়েলি সেনা আধিকারিকের। সোমবার এই ঘটনার কথা বিবৃতি দিয়ে জানায় ইহুদি দেশটির সেনা। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হেজবোল্লা। লেবাননের এই শিয়া জঙ্গি সংগঠনটি জানিয়েছে, সীমান্ত লাগোয়া ইজরায়েলের পাঁচটি সামরিক ঘাঁটি নিশানা করেছিল। দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলের আক্রমণে যে সাংবাদিক ও সাধারণ বাসিন্দাদের মৃত্যু হয়েছে তার বদলা নিতেই ছিল এই হামলা।
উল্লেখ্য, গাজায় উত্তপ্ত হয়ে আছে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তও। হেজবোল্লার সঙ্গে লড়াই চলছে ইজরায়েলি ফৌজের। খবর মিলেছিল, সুন্নি এই জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে মদত দিচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। এদিকে, হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে হেজবোল্লাকে না জড়ানোর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেনার সঙ্গে আলোচনা করার পর নেতানিয়াহু কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি হেজবোল্লা এই যুদ্ধে শামিল হয় তাহলে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের জন্ম হবে। ফলে এটা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল হবে। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে হেজবোল্লা সংগঠনকে আক্রমণ করব। যার ফলাফল তারা কল্পনাও করতে পারবে না। আর এই আক্রমণ শুধু তাদের জন্য নয় লেবাননের জন্যও ধ্বংসাত্মক হবে।” ফলে যতদিন যাচ্ছে তীব্র হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রক্তক্ষয়ী লড়াই।
FREE ACCESS