চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jego Desk : বছরের শুরুতেই একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় গ্রাস করছে এক একটি দেশকে। কিছুদিন আগেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে রীতিমতো তছনছ অবস্থা হয়ে গিয়েছে তিব্বতে। মৃত এবং আহত এর সংখ্যা শতাধিক। এরপর – ১৬° সেলসিয়াস। এই ঠান্ডায় বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপ এর মধ্যে চাপা পড়া অবস্থায় মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই অন্যদিকে ভয়াবহ দাবানল গ্রাস করেছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস প্রদেশকে। ইতিমধ্যেই এই দাবানলের জন্য মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। একের পর এক বাড়িসহ বহুভবন পুড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করছে সে দেশের দমকল বাহিনী থেকে শুরু করে উদ্ধারকারী দল । আর এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাবা বসালো সৌদি আরবে। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত দেশটি। ভারী বৃষ্টির জেরে এই দেশের রিয়াদ পবিত্র মক্কা এবং মদিনা সহ বিভিন্ন অঞ্চল চলে গিয়েছে জলের তলায়। এই বন্যার জেরে গাড়ি ডুবে মৃত্যু হয়েছে চারজন বন্ধুর।
[ আরও পড়ুনঃবিরোধী জোটের অস্তিত্ব নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জন্য দায়ী কংগ্রেস :সঞ্জয় রাউত]
মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতদের পরিবারের এক আত্মীয় বলেছেন। সন্ধ্যে বেলা নামাজ পড়ার পর চারজন বন্ধু গাড়ি করে যাচ্ছিল অন্যত্র। যাওয়ার সময় মক্কার দক্ষিণে ওয়াদি আর আরনাতেও দেখা যায় বন্যার জল। তাদের প্রাথমিক অনুমান ছিল সেখানে অল্প জল রয়েছে তাই তারা সহজেই গাড়ি পারাপার করতে পারবে। তবে তারা আগে থেকে আন্দাজ করতে পারিনি সেখানকার ঢেউয়ের তীব্রতা। রাস্তা পারাপার করার সময়ই হঠাৎ করেই ঢেউয়ের তলায় গাড়ি তলিয়ে যায়।। জলের তীব্র এতটাই বেশি ছিল যে তাদের গাড়ি ডুবে যাওয়ার পরেই তলিয়ে যায়।
দেশের আবহাওয়া দপ্তরের তরফে সকল নাগরিকদের আগের সতর্ক করা হয়েছিল তবুও সে চারজন বন্ধুর সতর্কবার্তার তোয়াক্কা না করেই এই ভুল কাজ করে বসে। প্রত্যেকের বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে আবহাওয়ার সম্পর্কে জেনে তারপর বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত। কম পরিমাণে জল থাকলেই যে তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে না এমনটা নয়।
[এবার বলিউডে ‘পুষ্পা’, বনশালির সিনেমায় দেখা যাবে আল্লু অর্জুনকে]
ইতিমধ্যেই মক্কা এবং মদিনার বন্যা কবলিত অঞ্চলের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যাচ্ছে মক্কার মদিনার রাস্তাঘাট আর রাস্তা নেই রীতিমত নদীতে পরিণত হয়েছে। রাস্তার এক পাশ দিয়ে জলের তোরে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি, ঘরবাড়ি আরো অনেক সামগ্রী। উঁচু এবং নিচু উভয়ই উপত্যকায় জমে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে জল। বারবার করে সতর্ক করা হচ্ছে বাড়ির বাইরে প্রয়োজন ছাড়া না বেরোতে। এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত মানুষ বন্যার জলে আটকে পড়েছেন তাদেরকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।