চিত্রঃ প্রতীকী
Bangla Jago Desk: দীর্ঘ দশ বছর ধরে তিলে তিলে জমানো খুচরো পয়সা। শেষমেশ সেই পিগি ব্যাংক (Piggy Bank) ভেঙে অবাক হলেন আমেরিকার পোর্টল্যান্ডের বাসিন্দা ইলাই পিয়্যাট। ছোটবেলা থেকে জমানো এই খুচরো পয়সাগুলো ক্যাশ করার পর তিনি মোট কত টাকা পেয়েছেন, সেই হিসেব দেখে কার্যত চমকে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের থ্রেডস (Threads) অ্যাকাউন্টে ইলাই পিয়্যাট তাঁর কয়েনস্টারের (Coinstar) রসিদের একটি ছবি শেয়ার করেন, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “দশ বছর সময় লাগলো, অবশেষে আমার স্টার ওয়ার্স পিগি ব্যাংকটা ভর্তি হলো। এইমাত্র ক্যাশ করলাম।” জানা গেছে, কয়েনস্টারের মেশিনটি খুচরো পয়সা গুনে সেগুলোকে কাগজের নোট বা গিফট কার্ডে পরিণত করে (Portland)।
আরও পড়ুনঃ Haridevpur Shootout: প্রেম থেকে প্রাণঘাতী শত্রুতা, হরিদেবপুর কাণ্ডে এবার পুলিশের জালে শ্যুটার
পিয়্যাট জানান, তাঁর পিগি ব্যাঙ্কে জমেছিল ৮০১টি এক সেন্টের কয়েন (পেনিস), ৯২৮টি পাঁচ সেন্টের কয়েন (নিকেল), ১,২০২টি দশ সেন্টের কয়েন (ডাইম), ২,০০২টি পঁচিশ সেন্টের কয়েন (কোয়ার্টার), ১টি হাফ-ডলার কয়েন এবং ১১টি এক ডলারের কয়েন। সব মিলিয়ে মোট জমার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৮৬.৬১ ডলার। তবে, কয়েনস্টারের প্রক্রিয়াকরণ ফি বাবদ ৮৯.১৬ ডলার কেটে নেওয়ার পর তাঁর হাতে আসে ৫৯৭.৪৫ ডলার। এত বড় অঙ্কের টাকা দেখে দারুণ খুশি পিয়্যাট। তিনি বলেন, “এত টাকা জমেছিল দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম।” এই টাকা তিনি তাঁর প্রিয় শখ, অর্থাৎ ভিনাইল রেকর্ড সংগ্রহে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই কিছু রেকর্ড কিনেও ফেলেছেন (Portland)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/
পিয়্যাট আরও জানান যে তিনি আসলে প্রকাশ্যে এই জমার পরিমাণ জানাতে চাননি। ভুলবশত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্টটি হয়ে যায়। তাঁর বক্তব্য, “আমি প্রথমে কয়েকজন বন্ধুকে দেখানোর জন্য ফেসবুক-এ পোস্ট করেছিলাম, কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম যে আমার ফেসবুক এবং থ্রেডস সংযুক্ত। তাই ভুলবশত সেখানেও পোস্ট হয়ে যায়।” তাঁর এই পোস্টটি দ্রুত নজর কাড়ে। অনেকে জমানো অর্থের পরিমাণ নিয়ে মন্তব্য করেন, আবার কেউ কেউ কয়েনস্টারের প্রক্রিয়াকরণ ফি নিয়ে মজা করেন। কেউ কেউ অবশ্য পরামর্শও দেন যে ব্যাঙ্কে গিয়ে কয়েন রোল করে জমা দিলে এই অতিরিক্ত ফি এড়ানো যেত (Portland)।