চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: কানাডাকে নিয়ে বিদ্রুপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকদিন আগে আমেরিকার ৫১তম রাজ্য হওয়ার কানাডাকে প্রস্তাব দেন মার্কিন ভাবী প্রেসিডেন্ট। এরপরই এআইয়ের তরফে দেওয়া ছবিতে ফুটে ওঠে, ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ওহ কানাডা বলে সম্বোধন করেন। ট্রুথ সোশ্যাল নামে একটি ছবিতে স্পষ্ট ফুটে উঠছে,কানাডার পতাকার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাহাড়ে আবহের মাঝে এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী।
View this post on Instagram
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এই প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি কোনও সাড়া দেননি। তারপর এভাবে ট্রাম্পের ওহ কানাডা বলে সম্বোধন আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে বিশেষ বার্তা বহন করছে।অনেকেই বলছেন,তাহলে ট্রাম্প কি মসনদে বসে,কানাডাকে রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠবেন।অতীতে একাধিকবার ট্রাম্পের গলায় আগ্রাসনের সুর শোনা যায়।বলা যায়,কানাডা আর আমেরিকার সীমানায় রয়েছে একাধিক পাহাড়ি এলাকা। যার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত রকি পাহাড়।তাই পাহাড়ি প্রেক্ষাপটে এভাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ডাক দেওয়ার কথা সামনে আসতেই অন্য ছবি দেখতে পাচ্ছেন। তাহলে এবার কী ডোনাল্ড কানাডাকে অন্তর্ভূক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন কৌশলে ? এই প্রশ্ন সবমহলের কাছে বড় করে উঠছে। সময় বুঝে ট্রাম্প কী নতুন চাল দিলেন, তাও লক্ষ্যণীয়।
ট্রাম্প লোগো সফরের সময় ট্রুডোকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে যদি মার্কিন শুল্ক তার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে তাহলে কানাডা ৫১ তম রাজ্যে পরিণত হবে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কানাডিয়ান পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর গত শুক্রবার ট্রুডো ট্রাম্পের ফ্লোরিডা রিসর্টে যান। রিপাবলিকানরা বলেছেন যে তিনি কানাডা এবং মেক্সিকোতে শুল্ক আরোপ করবেন যদি তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী এবং অবৈধ ওষুধের প্রবাহ রোধ করতে ব্যর্থ হয়।
৫১ তম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ভাষণঃ
কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক, যিনি ট্রাম্পের মার-এ-লাগো ক্লাবে শুক্রবারের নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত তিনি যখন এই মন্তব্য করেছিলেন তখন তিনি মজা করছিলেন। “ভাবী প্রেসিডেন্ট মজা করেন। রাষ্ট্রপতি আমাদের সঙ্গে অন্যমুডে ছিলেন। এটি অবশ্যই সেই ইস্যুতে কোনও গুরুতর মন্তব্য ছিল না,” লেব্ল্যাঙ্ক অটোয়ায় সাংবাদিকদের একথা বলেন।