চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : ফের গাজায় হামলা ইজরায়েলের। দুমাসের যুদ্ধ বিরতির চুক্তির শেষ হতে না হতেই ফের হামলা শুরু করে দিল ইজরায়েল। মঙ্গলবার কাকভোরে গাজর মাটিতে একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হামলার ঘটনা ঘটেছে গাজার ডের আল বালাহ, গাজা সিটি, খান ইউনুস এবং রাফা সহ একাধিক জায়গায়। এই হামলায় ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও অনেকে। দুমাসের যুদ্ধ বিরতির চুক্তির শেষ হতেই গাজার উপর ইজরায়েলের এই হামলায় একথা বলাই যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা রীতিমত জলে ভেসে গেল।
আরও পড়ুন : বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে ইজরায়েল যুদ্ধ বিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করে। আর এই পুরো ঘটনায় ঘটেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে। যুদ্ধ বিরতির এই মেয়াদের মধ্যে চুক্তি ছিল যাদেরকে বন্দি করে রেখেছে হামাস তাদেরকে তারা মুক্তি দেবে। এই চুক্তি অনুযায়ী বহু পনবন্দিদের মুক্তি দেয় হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে ফের অভিযোগ ইজরায়েলের। দাবি সব পণবন্দিদের এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। এমনকি মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। যে কারণে এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা। মূলত হামাস জঙ্গির ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছে এই হামলা। এই হামলার জোরে মৃত্যু হয়েছে হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক মেহমুদ আবু ওয়াতফার। বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়।
আরও পড়ুন : মঙ্গলে কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে? পড়ুন আজকের রাশিফল
প্রসঙ্গত, আমেরিকা মিশর এবং কাতারের যৌথ উদ্যোগেই হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। তবে সমস্ত পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়ায় বেঁকে বসেন নেতানিয়াহু সরকার। হামলা চালায় গাজার উপর। ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান কিছু মাসের জন্য হলেও ফের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ময়দানে নেমেছে ইজরায়েল। এখনো পর্যন্ত গাঁজা এবং ইজরায়েলের যুদ্ধে বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে শিশু এবং মহিলা। শিশুদের সংখ্যা রয়েছে ২০ হাজার। আবার সরকারি হিসাব অনুযায়ী সেই সংখ্যা ৬১ হাজারেরও বেশি। শুধুমাত্র গাঁজাতেই মৃত্যু হয়েছে ৪৮ হাজার শিশু। এবং জখমের সংখ্যা লক্ষাধিক।