Bangla Jago Desk: সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তখনই হঠাৎ করে প্রতিবাদ করে ওঠেন ইজরায়েলের দূত গিলাদ এরদান। মাহসা আমিনীর একটি পোস্টার তুলে ধরে এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েল দূত। সেই পোস্টে দাবি জানিয়ে লেখা ছিল যে ইরানের নারীরা এবার মুক্তির প্রত্যাশা করছে। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায় এই ঘটনার পরেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনী আটক করে ইজরায়েল দূত গিলাদ এরদানকে। শুধু তাই নয় অধিবেশন পক্ষ থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়।
যদিও এরদান কে আটক করা হলেও জাতিসংঘ দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছে তারা শুধুই নিরাপত্তার কথা বলছে। কোন রাষ্ট্রদূতকে আটক করা হয়নি। এরপরে বেশ কিছু সমালোচনা হলেও গিলাদ এক্সে লিখেছেন, “ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, ‘তেহরানের কসাই’ যখন তার বক্তৃতা শুরু করেন, তখন আমি মাহসা আমিনির একটি ছবি তুলেছিলাম, যে নিরপরাধ ইরানি তরুণীকে এক বছর আগে ‘সঠিকভাবে হিজাব’ না পরার কারণে শাসক বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। জাতিসংঘের বাইরে শত শত ইরানি বিক্ষোভ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের জন্য ভিক্ষা জানিয়েছে।
আমি কখনই সত্যের জন্য লড়াই বন্ধ করব না এবং আমি সর্বদা জাতিসংঘের নৈতিক বিকৃতি প্রকাশ করব। যারা খুনি ও বিরোধীদের জন্য লাল গালিচা বিছিয়েছে তাদের কর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে!” প্রসঙ্গত গত বছর ১৬ই সেপ্টেম্বর সঠিকভাবে হিজাব না পড়ার দ্বন্দ্ব হিসেবে ১৬ বছরের তরুণী মাহসা আমিনীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতেই মৃত্যু হয় তার। তরুণীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি পুলিশের অত্যাচারের কারণে হয়েছে সেটা নিয়ে বেশ কিছু দ্বিমত রয়েছে। এর ফলে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল তা আজও এক বছর পরেও অব্যাহত রয়েছে।