ad
ad

Breaking News

Bangladesh

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে আওয়ামী লীগ?

তবে প্রশ্ন উঠছে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, তাহলে তারা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে পারে? সজীব ভূঁইয়ার দাবি, "সরকারের হাতে চারটি আইন রয়েছে, যার মাধ্যমে নির্বাহী আদেশে কোনও দলকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব। তবে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।"

Is Awami League going to be banned in Bangladesh?

চিত্র- সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া জানান, সরকার শিগগিরই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনুস সরকার দেশকে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধীরে ধীরে মুছে ফেলা হচ্ছে। এখন শেখ হাসিনার সম্পত্তিতেও হামলা চালাচ্ছে ‘বিপ্লবী’ ছাত্ররা। কিছুদিন আগেই নির্বাচন সংস্কার কমিশন জানিয়েছিল, যদি আদালত বা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে, তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। এই ঘোষণার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরব হয়। বিএনপি ও জামাতও একই দাবি তোলে।

গত তিন দিনে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সজীব ভূঁইয়া বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি ইতিবাচক যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ এই দলের অগণতান্ত্রিক মনোভাব মেনে নিতে পারেনি। তাই ৫ আগস্টের আগে ও পরে দলটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে জনমত গড়ে উঠেছে।”

তবে প্রশ্ন উঠছে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, তাহলে তারা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে পারে? সজীব ভূঁইয়ার দাবি, “সরকারের হাতে চারটি আইন রয়েছে, যার মাধ্যমে নির্বাহী আদেশে কোনও দলকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব। তবে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।”

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউনুস সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে। একসময় “নতুন বাংলাদেশ” গঠনের ডাক দিলেও, এখন তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে নির্বাচন থেকে বড় প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দিতে চাইছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।