চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ। শুক্রবার রাতেই পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফের তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অতীতের বিপুল ঋণে এখনও জর্জরিত রয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানকে ঋণ মঞ্জুর করার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে আইএমএফের ভূমিকা।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশকিছু বছর ধরেই ঋনের উপর টিকে রয়েছে পাকিস্তান। সেই দারাই অব্যাহবত রাখল এবার ইসলামাবাদ। তবে ভারতের তরফ থেকে স্পষ্ট যুক্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে যেন ঋণ না দেওয়া হয়। একাধিকবার অতীতেও ঋন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, ,সেই অর্থ সইঠক খাতে ব্যবহারও করেনি পাকিস্তান। ভারতের তরফে সরাসরি সেই অর্থ সন্ত্রাসবাদের যোগান দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ভারত জানায়, পাকিস্তান এই অর্থ আন্তঃসীমান্ত সমন্ত্রাবাদে ব্যবহার করতে পারে। তাই তাকে এই অর্থ দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। এমনকি ঋণ নেওয়ার পর যে সমস্ত শর্থ বা নিয়মবিধি মেনে চলা উচিত, তার কিছুই মেনে চলে না পাকিস্তান। ফলে এবারও সেই অর্থ অপব্যবহারের সম্ভাবনারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারাত। তবে এই ঋন দেওয়ার বিষয়ে ভোটাভূটি হলে, সেই ভোটের ফলাফল থাকে পাকিস্তানের পক্ষেই। তবে এই ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল ভারত।
এই ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পরই পাকিস্তানের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ‘পাকিস্তানকে এক মিলিয়ন ডলার ঋন মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করেছে পাকিস্তান, সেই সঙ্গে দেশটি উন্নতির পথে এগিয়েছে।’ যদিও গোটা বিশ্ব এই উন্নতির নিদর্শন পেয়েছে একাধিকবার। ইতিপূর্বেও সন্ত্রাসবাদে লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঋণ গ্রহণ করেছিল পাকিস্তান। তবে বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতির কোনও প্রতিফলনই যে ঘটেনি, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট।