চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: আমেরিকার সরকারি নীতিতে লিঙ্গ পরিচয়ের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই তিনি ঘোষণা করেন, সরকারি নথিপত্রে শুধুমাত্র পুরুষ এবং মহিলা—এই দু’টি লিঙ্গের স্বীকৃতি থাকবে। সোমবার শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প জানান, শীঘ্রই তিনি এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।
ট্রাম্প বলেন, “এখন থেকে আমেরিকার সরকারি নীতি অনুসারে শুধুমাত্র দু’টি লিঙ্গ থাকবে— পুরুষ এবং মহিলা।” সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নীতির ফলে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য সরকারি নথিপত্রে পুরুষ বা মহিলা—এই দু’টি লিঙ্গের মধ্যে যে কোনও একটি উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক হবে। শারীরিক গঠন অনুযায়ী যে ব্যক্তি যে লিঙ্গের, সেটিই নথিপত্রে স্বীকৃতি পাবে।
জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক লিঙ্গের স্বীকৃতি দেওয়ার নীতি চালু হয়েছিল। বাইডেন তাঁর মেয়াদের প্রথম দিনেই এই নীতি কার্যকর করেছিলেন। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরেই সেই নীতি বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন মানবাধিকার এবং তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি। আমেরিকার বৃহত্তম তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইট্স ক্যাম্পেন’-এর সভাপতি কেলি রবিনসন বলেন, “আমরা পিছু হটব না। ভয়ও করব না। নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”
ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন নীতি আমেরিকায় রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এই নীতি তাঁদের স্বীকৃতি ও অধিকার খর্ব করার একটি বড় পদক্ষেপ।