ad
ad

Breaking News

France Crisis

ফ্রান্সে অস্থিরতা, এক মাসেই প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা!

সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লেকর্নুর আগে ২০২৪-২৫-এ ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফ্রাঁসোয়া বেইরু।

france-crisis-prime-minister-resigns-unrest

চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk: ফ্রান্স জুড়ে জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন। সারা দেশজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এবার ফরাসি সরকারের অন্দরমহলেও তার প্রভাব পড়ে গেল। মন্ত্রিসভা গঠনের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ তাঁর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেছেন বলে খবর।

ফরাসি সরকারের পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী দু’বছরের মধ্যে পদত্যাগ করলেন। সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লেকর্নুর আগে ২০২৪-২৫-এ ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফ্রাঁসোয়া বেইরু। তাঁর মন্ত্রিসভাতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লেকর্নু। গত ৮ সেপ্টেম্বর বেইরু অনাস্থা ভোটে হারের পর লেকর্নুকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বেছে নেওয়া হয়। যদিও কুর্সিতে বসার পর এক মাস পার হওয়ার আগেই পদ ছাড়তে হল তাঁকে। জানা যাচ্ছে, সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ-র সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় লেকর্নুর। এরপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে এই অচলাবস্থার শুরু এলিজাবেথ বোর্নের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরার পর থেকেই। গত বছর তাঁর ছেড়ে যাওয়া কুর্সিতে বসেন গ্যাব্রিয়েল আটাল। একই বছরের মধ্যে মিকেল বার্নিয়ের এবং ফ্রাঁসোয়া বেইরু একের পর এক আসেন প্রধানমন্ত্রী পদে। দু’বছরের মধ্যে চার বার প্রধানমন্ত্রী বদলের প্রতিবাদে সম্প্রতি রাজধানী প্যারিসের রাজপথে নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। শহরজুড়ে চলে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব। বিক্ষোভ থামাতে বহু মানুষকে গ্রেফতার করে ফরাসি পুলিশ।

আন্তর্জাতিক ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশায় প্রলেপ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেইরু সরকারের পতন ঘটে। ফ্রান্সের ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণের মোকাবিলা করতে বেইরু সরকার সম্প্রতি বাজেটে ৪৪ বিলিয়ন ইউরো কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়েছিল দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে। এর জেরে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হতে শুরু করে। অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা ফ্রান্স। এবার সেই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে ইস্তফা দিতে হল আরও এক প্রধানমন্ত্রীকে।