সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: মার্কিন মুলুকের ইতিহাসে এই প্রথম কোন ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ইতিমধ্যেই মার্কিন মলকে নিজের এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কমলা হ্যারিস। বুধবার ট্রাম্প ও কমলার প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট শুরুর আগে রিপাবলিকের নেতার সাথে করমর্দন করলেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী। অবশ্য বিতর্ক চলাকালীন ডেমোক্র্যাট নেত্রী ক্রমাগত আক্রমণ করে গেছেন ট্রাম্পকে। এই বিতর্ক সভায় কমলার মুখোমুখি হয়ে বহুবার অস্বস্তিতে পড়েছেন ট্রাম্প।
[আরও পড়ুন: উপত্যাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন,আহত এক বিএসএফ জওয়ান]
এদিনের বৈঠকে এই প্রথম সামনা সামনি দেখা হল দু’দলের নেতা-নেত্রীর। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজে এগিয়ে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে করমর্দন করেন। কিন্তু বিতর্ক সভায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, রিপাবলিকান নেতা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে উনি কোটিপতি ও বড় ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবেন। কিন্তু যদি ডেমোক্র্যাট নেত্রী ক্ষমতায় আসেন তাহলে তিনি ছোট ব্যবসায়ী ও অসহায় পরিবারগুলির পাশে থাকবেন।
কমলা নিজের মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমজনতার জন্য ট্রাম্পের কোন পরিকল্পনা নেই।” ট্রাম্পের করা কার্যকলাপ সামলাতে ডেমোক্রেট সরকারের প্রায় চার বছর সময় লেগেছে, এমনটাই দাবি করেছেন কমলা। এর সাথে কমলে আরো দাবি করেন যে, যদি প্রেসিডেন্ট পথ ট্রাম কে দেওয়া হয় তাহলে গোটা মার্কিন মুলুকের সকল মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার চলে যাবে। চটজলদি ট্র্যাম্প বলেন, মিথ্যা কথা বলছেন কমলা। সেসময় কেউ একজন বলে ওঠে, তাহলে কি যে কোন মূল্যেই গর্ভপাত বিরোধী আইন পাশ হতে দেবেন না ট্র্যাম? কিন্তু সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[আরও পড়ুন: অবস্থানে অনড় থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে,জুনিয়র ডাক্তার না থাকায় ওটি হয়নি]
কমলা হ্যারিস এদিন একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ করেছেন রিপাবলিক প্রার্থীকে। এদিকে ট্রাম্প বলেন তিনি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে গোটা বিশ্বে এমন ভয়াবহ দু-দুটো যুদ্ধ শুরুই হতে দিত না। ট্র্যাম্প বলেন, এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। এর সাথে কমলাকে একাধিক বিষয়ে আক্রমণ করেছেন ট্র্যাম্প। তবে রিপাবলিকান প্রার্থীকেও ছেড়ে দেননি কমলা, যথাযথ উত্তর দিয়েছেন তিনি।