Bengla Jago Desk: অনেক আগেই দুর্গাপুজো হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। তবে এখন সেই মাপকাঠি পার করে বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গাপুজো হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। দেশকালের সীমা ছাড়িয়ে এখন বিশ্বের নানা প্রান্তে আয়োজিত হচ্ছে দুর্গাপুজো। বলা হয়, কয়েকজন বাঙালি এক জায়গায় জড়ো হলে আর কিছু না হোক একটা দুর্গাপুজোর আয়োজন হবেই। আর বিশ্বের নানাপ্রান্তে তা হচ্ছেও। অনেক বিধিনিষেধ থাকায় কিছু কিছু জায়গায় একেবারে পঞ্জিকা মেনে পুজো আয়োজন করার সুযোগ নেই। তবে বাংলায় যেমন ভাবে পুজো আয়োজন হয়, ঠিক তেমন ভাবে দুর্গার আরাধনা হয়েছে আসছে জার্মানির বার্লিনে।বার্লিনের হ্যাসেনহাইডে গণেশ মন্দিরে আয়োজিত হচ্ছে এই দুর্গাপুজো।
বিদেশের মাটিতে দুর্গাপুজো হলেও তা সব হচ্ছে সব নিয়ম মেনেই। পঞ্জিকামতে সব নিয়ম মেনেই পূজিত হবেন দেবী দুর্গা। সঙ্গে উৎসবের আবহও একেবারে বাংলার মতোই। রীতি-নীতি থেকে প্রথা সবকিছুই পালিত হবে অক্ষরে অক্ষরে। জার্মানিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পারভাথানেনি হরিশ উদ্বোধন করবেন এই পুজোর। অনেক সময়ে বিদেশের দুর্গাপুজো সপ্তাহান্তে আয়োজিত হয়। ছুটি মেলে না, আরও নানা অসুবিধার কারণে অনেকসময় দিনের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসবে তেমনটা হচ্ছে না। বাংলার মতো নিয়ম মেনে পাঁচ দিন ধরে মহাসমারোহে চলবে দুর্গাপুজো। তার সঙ্গে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এক এক দিনের জন্য এক একরকম থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। বাঙালির দুর্গাপুজো হলেও দরজা খোলা রয়েছে সবার জন্য। পুজোর দিনগুলিতে এখানে ভিড় জমান দেশ-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ।প্রবাসে পুজো হলেও ভোগ খাওয়া হবে না? এমনটা হয় না বার্লিনের এই পুজোয়। খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, পায়েস— সব বন্দোবস্তই আগে থেকে ঠিক করে রাখা হয়েছে। ঠাকুর দেখতে এসে যে কেউ পাত পেড়ে ভোগ খেয়ে যেতে পারেন এই মণ্ডপে। দশমীর সিঁদুর খেলাও বাদ যাবে না। জার্মান সরকারের যাবতীয় নিয়ম মেনেই প্রাবাসী বাঙালিরা আয়োজন করেছেন এই পুজো। যেখানে আছে ষোলো আনা বাঙালিয়ানা। সাগরপাড়ের উমা বন্দনার এমন আয়োজনে বাঙালির দুর্গোৎসব হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন।
Free Access