চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে জানালেন অভিবাসন দফতর (আইসিই) যথেষ্ট কাজ করছে না, অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়াতে হলে সংস্থাকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অনেকে আইসিই-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। কিন্তু আমার মতে, ওরা এখনও তেমন কিছুই করেনি। প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমেরিকায় (Donald Trump)।
আরও পড়ুনঃ বাদুড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা, তেতুলিয়া ব্রিজে বাইক চালকের মৃত্যু
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করার জন্য এই সংবাদ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ট্রাম্প।সেই মামলায় ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, এই সংবাদ চ্যানেল তাঁর ও ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের মধ্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভা নিয়ে অন্যায্য আচরণ করেছে। শেষ পর্যন্ত ১৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়ে নিষ্পত্তি হয় মামলা।সাক্ষাৎকারে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন অভিবাসন নীতি এখন এতটাই আক্রমণাত্মক যে বহু নিরীহ মানুষ হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। কাঁদানে গ্যাস, ভাঙচুর— এসব কি আপনি সমর্থন করেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ওরা এখনও যথেষ্ট কঠোর হয়নি! অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়াতেই হবে।ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জো বাইডেনের আমলে নিযুক্ত উদারমনস্কতার কারণে বহু বছর অভিবাসন সংক্রান্ত পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।হোয়াইট হাউসে পুনরাগমনের পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আক্রমণাত্মক অভিবাসন নীতি’ ঘিরে উত্তাল আমেরিকার বিভিন্ন শহর। সাম্প্রতিক এক বন্দির মৃত্যু এবং দু’জন আহত হওয়ার ঘটনায় সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে (Donald Trump)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনাও উপেক্ষা করছেন না ট্রাম্প। তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জ ও পশ্চিমি বিশ্বকে সরাসরি দায়ী করে বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের মদতেই পশ্চিমের দেশগুলিতে অনুপ্রবেশ বাড়ছে।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো ট্রাম্পের বক্তব্যকে “অমানবিক ও বিপজ্জনক” বলে আখ্যা দিয়েছে, তবে প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থানে অনড়— “মার্কিন সীমান্ত সুরক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না,” জানিয়েছেন তিনি (Donald Trump)।