চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্বে আসার পর থেকেই বেশ কিছু বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছিল, রূপান্তরকামীদের আর সেনাবাহিনীতে রাখা হবে না। মঙ্গলবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল মার্কিন আদালত। ফেডেরাল বিচারক অ্যানা রেয়েস জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই নির্দেশ সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে। সামরিক চাকরি থেকে রূপান্তরকামী সেনাদের এভাবে বহিষ্কার করা যাবে না। আদালতের এই রায় ঘোষণার পরেই খুশি মামলাকারী ১৪ জন রূপান্তরকামী সেনাকর্মী।
মঙ্গলবার ফেডেরাল বিচারক অ্যানা রেয়েস বলেন, ”আমি জানি আদালতের এই রায়ে বিতর্ক তৈরি হবে। তবে একটি সুস্থ গণতন্ত্রে দ্বিমত ইতিবাচক। তবে এ বিষয়ে আমাদের সকলেরই একমত হওয়া উচিত যে, যাঁরা দেশের সেবা করার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধার যোগ্য।” তিনি শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রশাসনকে এ বিষয়ে আবেদনের সময় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বিষ্ণুপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে জলের ট্যাঙ্ক, কেন জানেন?
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের রূপান্তরকামী সেনাকর্মীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করে। পাশাপাশি চিন্তায় পড়েন সেনাকর্মীরা। চাকরি হারানোর ভয় কাজ করতে থাকে তাঁদের মধ্যে। ১৪ জন রূপান্তরকামী সেনাকর্মী মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার আদালতের এই রায় ঘোষণার পরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। সেনার সেকেন্ড লেফ্টেন্যান্ট রূপান্তরকামী নিকোলাস ট্যালবটের কথায়, ”সেনাবাহিনী থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হবে কি না, তা জানার জন্য এত দিন প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করছিলাম। এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারলাম। এটাই আমি এত দিন ধরে চেয়েছিলাম। সেনাবাহিনীতে কাজ করা আমার স্বপ্ন ছিল, অনেক কষ্টে এই চাকরি পেয়েছি। সেটাও হারাতে বসেছিলাম।”
অপরদিকে এই স্থগিতাদেশের পরে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে অফিসিয়ালি কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ স্টিফেন মিলার কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ”বিচারকেরা এখন নিজেদের সেনাবাহিনীর সর্বেসর্বা মনে করছেন! এই উন্মাদনার কি শেষ নেই?”
আরও পড়ুন : ইচ্ছে হলেই কাটা যাবে না জলের লাইন! নতুন নির্দেশ জারি পুরসভার
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই সরকারি নীতিতে লিঙ্গ পরিচয়ের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনেন। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই তিনি ঘোষণা করেন, সরকারি নথিপত্রে শুধুমাত্র পুরুষ এবং মহিলা—এই দু’টি লিঙ্গের স্বীকৃতি থাকবে। ট্রাম্প বলেন, “এখন থেকে আমেরিকার সরকারি নীতি অনুসারে শুধুমাত্র দু’টি লিঙ্গ থাকবে— পুরুষ এবং মহিলা।” জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক লিঙ্গের স্বীকৃতি দেওয়ার নীতি চালু হয়েছিল। বাইডেন তাঁর মেয়াদের প্রথম দিনেই এই নীতি কার্যকর করেছিলেন। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরেই সেই নীতি বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।