Bangla Jago Desk: উত্তর গাজা ও লেবাননে ইজরায়েলের সর্বশেষ হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ১৪৩ জন প্যালেস্তিনি নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৩২ জন মারা গিয়েছে যুদ্ধপীড়িত উত্তর গাজায়।
এদিকে ইজরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজার বেইট লাহিয়ায় একটি পাঁচ তলা আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেয়েছে। এতে শিশু-সহ বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। হামলা হওয়া ওই আবাসিক ভবনটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল।
মঙ্গলবার ভোরে বেইট লাহিয়াতে ২৫ শিশু-সহ কমপক্ষে ৯৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য দূত বেইট লাহিয়ায় ইজরায়েলি ভয়াবহ এই হামলার নিন্দা করেছেন। টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, ইজরায়েলের আক্রমণে তিনি হতবাক। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার গাজার উত্তরে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি অভিযানের পাশাপাশি সাম্প্রতিক গণহত্যার ঘটনাগুলির মধ্যে ভয়াবহ। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং গাজায় জনসংখ্যার অবিরাম বাস্তুচ্যুতির নিন্দা জানাই। মৃত্যু এবং এ ধ্বংসের এই অবিরাম ধারা অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত।
এ ছাড়া লেবাননের বেকা উপত্যকায় ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। গাজা ও লেবাননে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ইজরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিডন শহরের সারাফান্দ ও হারেত সাইদা এলাকায় ইজরায়েলের হামলায় মারা গিয়েছেন ১৫ জন।
ইজরায়েল ও তাদের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে প্যালেস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম তিন মাসের মধ্যে নিষিদ্ধ করে পার্লামেন্টে বিল পাস করেছে ইহুদি দেশটি। এতে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উচ্চ মৃতের সংখ্যা এবং এখনও উত্তর গাজায় বসবাসকারীদের ক্রমবর্ধমান দুর্দশা সত্ত্বেও কাতারে পুনরায় শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা একটি অগ্রগতি পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে প্রতিবেদনে করেছেন। তিনি বেইত লাহিয়ায় হামলার বেদনাদায়ক দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
উত্তর গাজার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, হামলার পর ১৫০ জনেরও বেশি নিহত ও আহত হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাবে মারা যেতে পারেন। ইজরায়েলি বাহিনী গত সপ্তাহে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসা কর্মীকে আটক করেছে, মাত্র তিনজন চিকিৎসককে রেখে গিয়েছে।