ad
ad

Breaking News

Poland

কয়েন ছুঁড়ে তরুণীর বাঁচা মরার ফয়সালা! ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি খুনির

এরপর হেপা স্বীকার করেন যে, তিনি তরুণীকে দড়ির সাহায্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি তার দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে লুকানোর চেষ্টা করেন।

Coin flipping decides whether a young woman lives or dies! Horrifying confession of the murderer

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: পোল্যান্ডের কাটোভিস শহরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, ২০ বছর বয়সী এক যুবক স্বীকার করেছেন যে, তিনি একটি কয়েন ছুঁড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর জীবন নিয়ে।

এই তরুণী একটি পার্টি থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন অভিযুক্ত তাকে লক্ষ্য করেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাতেউজ হেপা কয়েন ছুঁড়ে ঠিক করেন যে তিনি তরুণীকে হত্যা করবেন এবং পরে তার মৃতদেহের ওপর যৌন নির্যাতন চালাবেন।

কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা

ঘটনাটি ঘটে কাটোভিস শহরে। মাতেউজ হেপা, যিনি একটি গাড়ি মেরামতের দোকানে কাজ করতেন, কাজ শেষে তরুণীর সঙ্গে বাসে দেখা করেন। কথাবার্তার মাধ্যমে তিনি তরুণীকে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যান। সেখানে তরুণী ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর হেপা স্বীকার করেন যে, তিনি তরুণীকে দড়ির সাহায্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি তার দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে লুকানোর চেষ্টা করেন।

আদালতে ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি

গ্লিওইসে আদালতে হেপা জানান, হত্যার আগে তিনি কয়েন ছুঁড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি কয়েন ছুঁড়ি। যদি টেইলস পড়ত, তাহলে সে হয়তো বেঁচে যেত। কিন্তু হেডস পড়ায় আমি তাকে হত্যা করি।” হেপা আরও বলেন, “আমি তাকে বেছে নিয়েছিলাম কারণ অনেকদিন ধরে কাউকে হত্যা করার ইচ্ছা হচ্ছিল। আমরা কথা বলছিলাম, তারপর সে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি তাকে জাগানোর চেষ্টা করি কিন্তু পারি না। তারপর কয়েন ছুঁড়ে সিদ্ধান্ত নিই।”

হত্যার পদ্ধতি ও পরবর্তী কাজ

আদালতে হেপা বলেন, “আমি তার বুকে বসে শ্বাসরোধ করি। শ্বাস নিতে চেষ্টা করলেও তার কোনো শক্তি ছিল না। হত্যার পর আমি তাকে নগ্ন করি এবং দেহের ওপর যৌন নির্যাতন চালাই।” এরপর তিনি মৃতদেহ একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। তবে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। হেপার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আজীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এই নির্মম ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ এবং ভুক্তভোগীর বন্ধুরা আদালতে চিৎকার করে বলেছেন, “তোমার মৃত্যুই একমাত্র প্রাপ্য।”