চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে মরিয়া চিন। সেইজন্য ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের চিনা দূতাবাস থেকে সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রায় চার মাস পর ভারতীয়দের ভিসা দিল চিন। এখান থেকেই স্পষ্ট যে দুই দেশের মধ্যে মানুষে মানুষে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চিনের এই পদক্ষেপ নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ৯ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত, ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলি থেকে এই বছর চিন ভ্রমণকারী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৮৫,০০০ এরও বেশি ভিসা জারি করা হয়েছে। আমরা ভারতীয় বন্ধুদের চিন ভ্রমণে স্বাগত জানাই। চিনে এসে একটি উন্মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত, এবং বন্ধুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
বলা বাহুল্য, তথ্য অনুসারে ২০২৩ সালে যেখানে সারা বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ভারতীয়কে চিনে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে এবার প্রথম চার মাসেই এত সংখ্যাক ভিসা। আর এই নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ, ভিসা প্রদানের পরিমাণ বৃদ্ধি সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং পর্যটন বিনিময় বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
চিন দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে যারা মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করছেন তাঁদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।মহামারীর কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কারণে অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থী তাঁদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। আর এবার সেই ভ্রমণ আবার শুরু হতে চলেছে।
ভিসা অনুমোদন বৃদ্ধি হলেও যদিও ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত ইস্যুতে। তবুও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে জোর করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং উল্লেখ করেছেন যে, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল অর্থনীতি হিসেবে ভারত ও চিনের বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসাথে কাজ করা উচিত। বিশেষ করে মার্কিন শুল্কের মতো ইস্যুতে একজোট হওয়া দরকার। বলা বাহুল্য, চিন একাধিকবার এক হওয়ার কথা বললেও বাস্তবে অনেকবার দেখা গিয়েছে অন্যচিত্র। অতীতেও সেই নজির থাকায় খুব সাবধানেই পা ফেলছে নয়াদিল্লি।