চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : ওয়াশিংটনের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান এবং একটি মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত সকল যাত্রীর দেহ উদ্ধার পর্ব শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনায় নিহত ৬৭ জনের দেহ পোটোম্যাক নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মার্কিন বিমান দুর্ঘটনা ছিল এটি। উদ্ধার প্রচেষ্টায় জড়িত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একজন ছাড়া বাকি সকল মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। অনুসন্ধানের কাজ শেষ হয়েছে, গত সপ্তাহে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল এটি।’ পাশাপাশি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিহতদের পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি হয়েছে, আমরা তাদের পাশে আছি। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই এবং এই কঠিন সময়ে তাদের সমর্থন জানিয়ে যাব।’
[ আরও পড়ুনঃমহাকুম্ভের মহাবিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে শ্রাবণী মেলার আগে বিশেষ বৈঠক]
ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যাত্রীবাহী বিমানের ডানদিকের ডানা, ফিউজলেজের কেন্দ্র অংশ, বাম ডানার অংশ, লেজের কোণ এবং রাডার-সহ কিছু অংশ উদ্ধার হয়েছে। বিমান উদ্ধারের কাজ শেষ হলে হেলিকপ্টারটি উদ্ধারের কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বুধবারের দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বিমানের ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু সদস্য এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে থাকা তিনজন সেনা নিহত হন, কেউ বাঁচেননি। দুর্ঘটনার সময় যাত্রীবাহী বিমানটি ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রেগান জাতীয় বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্ঘটনার জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বৈচিত্র্য নীতি’কে দায়ী করেছেন, যদিও তাদের দায়ী করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ট্রাম্প আরও বলেছেন, নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনে থাকা হেলিকপ্টারটি খুব বেশি উঁচুতে উড়ছিল বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন প্রচারমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যস্ত বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে দুর্ঘটনার সময় কর্মী কম থাকতে পারে। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও সম্পূর্ণ তদন্তে এক বছর সময় লাগতে পারে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে, স্থানীয় সময় গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ওয়াশিংটনের রেগান জাতীয় বিমানবন্দরে রানওয়ের কাছে আসার সময় মাঝ আকাশে সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে উড়োজাহাজটির সংঘর্ষ হয়।