Bangla Jago Desk: পাকিস্তানের ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। অশান্ত বালুচিস্তান প্রদেশে শুক্রবার একটি মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যা প্রায় ১৫০। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে হযরত মুহাম্মদের জন্মদিনের উদযাপনের জন্য সমাবেশে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। তখনই সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। দির্ঘদিন ধরে বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে বালোচিস্তান। বালোচ স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে লাগাতার চলছে পাকিস্তানি সেনার লড়াই। বিদ্রোহ দমনে নির্বিচারে হত্যা চালাচ্ছে পাক ফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে আবারও রক্তাক্ত হল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। নিহতদের মধ্যে পুলিশের এক শীর্ষকর্তাও রয়েছেন বলে খবর।
মাসতুঙ্গের সহকারী কমিশনার আট্টা উল মুনিমের মতে, বিস্ফোরণ ছিল ‘ভীষণ’। তবে এখনো পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায়ী কেউ স্বীকার করেনি। তবে এর নেপথ্যে তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান বা বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন ‘বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট’ এর হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, পাকিস্তানি শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে বালোচরা। পালটা খুন, হত্যা ও ধর্ষণের মতো অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে বিদ্রোহের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিশেষ করে চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হওয়ার পর থেকেই আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে বালোচিস্তান। অভিযোগ, খনিজ সমৃদ্ধ প্রদেশটিকে কার্যত লুট করছে পাক প্রশাসন।
প্রতিদানে বালোচ জনতা পেয়েছে শুধু নির্যাতন ও দারিদ্রতা।প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে৷ চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে৷ পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হয়েছে৷ এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান সহ গিলগিট বালতিস্তান ও পিওকের নাগরিকরা৷ অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করেছে পাকিস্তান৷ যাতে পূর্ণ মদত দিয়েছে চিন৷
Free Access