Bengla Jago Desk: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাতে থাকা মারণাস্ত্রের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে আছে পরমাণু বোমা। তবে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের হাতে আছে এই শক্তিশালী বোমা। সেইসব দেশ নিরন্তর চেষ্টা চলছে পরমাণু বোমার আরও আধুনিকীকরণ করতে। আবার অনেক দেশ পরমাণু বোমা তৈরির কৃতিত্ব অর্জনে চেষ্টা চালাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানে প্রথম পরমাণু বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। হিরোশিমায় ফেলা হয়েছিল ‘লিটল বয়’ পরমাণু বোমা। নাগাসাকিতে তার চেয়ে ২৪ গুণ বেশি শক্তিসম্পন্ন ‘ফ্যাট ম্যান’ পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল। এবার তার থেকেও বেশি শক্তিশালী পরমাণু বোমা আনতে চলেছে আমেরিকা। ‘গ্রাভিটি’ পরমাণু বোমা তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
.হিরোশিমায় পরমাণু বোমা থেকে ১৫ কিলোটন শক্তি উৎপন্ন
.‘লিটল বয়’ বোমায় মারা গিয়েছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ
.নাগাসাকিতে ফেলা বোমা থেকে ২৫ কিলোটন শক্তি উৎপন্ন
.‘ফ্যাট ম্যান’ বোমায় মারা গিয়েছিল ৭৪ হাজার মানুষ
.‘গ্র্যাভিটি’ বোমা থেকে ৩৬০ কিলোটন শক্তি উৎপন্ন হতে পারে
.বিমান থেকে পড়ার সময় মধ্যাকর্ষণ শক্তি থেকে ধ্বংসাত্মক শক্তি সঞ্চয়
.মাটি পড়লেই বিস্ফোরণ নয়, ৫০ ফুট গভীরে গেঁথে যাবে
.বহু গভীরে থাকা বাঙ্কার গুঁড়িয়ে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালাতে সক্ষম
গ্রাভিটি পরমাণু বোমা তৈরিতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পেন্টাগন। ইতিমধ্যে মধ্যাকর্ষণ শক্তিচালিত পরমাণু বোমা তৈরির কথা জানিয়েছে আমেরিকা। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধুমাত্র অনুমোদনের অপেক্ষা। আর্থিক বরাদ্দ মিললেই শুরু হয়ে যাবে মধ্যাকর্ষণ শক্তিচালিত পরমাণু বোমা। যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে মারণাস্ত্রের ভাঁড়ারে এই গ্র্যাভিট বোমা যুক্ত করতে পারলে প্রতিরক্ষায় অন্য দেশের থেকে আরও অনেকটাই এগিয়ে যাবে আমেরিকা।
Free Access