Bangla Jago Desk: কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল রাজস্থানের আজমের জেলায় ‘জলি এলএলবি ৩’ শ্যুটিং-এর ফাঁকে অভিনেতাদের শুট করা এক দৃশ্য। যেখানে অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি ও অক্ষয় কুমার’কে একসঙ্গে কোলাব করা একটি ভিডিও তে শুটিংয়ের ফাঁকে করা ওই ভিডিওতে প্রকাশ্যে আনতে দেখা যায় এটা লিখে যে,”এবার কে আসল কে নকল, সেটা তো জানি না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি যে জলি একটি ভালো আনন্দময় যাত্রা হতে চলেছে। আমাদের সঙ্গে থাকুন। জয় মহাকাল।” কিন্তু এরই মাঝে ‘জলি’ নিল নয়া মোড়।
View this post on Instagram
সূত্রের খবর আইনি জটিলতার মধ্যেই রয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ এর টিম। আদালত কিংবা আদালতের উকিল ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে সমাজে, যার কারণেই ঘটেছে এই বিপত্তি। জানাগেছে বিচার বিভাগের অখণ্ডতা নষ্ট করবার অভিযোগের ভিত্তিতেই একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ এর বিরুদ্ধে। এবং একটি বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এও জানা গিয়েছিল যে, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি চন্দ্রভান দ্বারাই কথিতভাবে অক্ষয় কুমার ও আরশাদ ওয়ারসির এই সিনেমাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ছবিতে ব্যাবহার করা সংলাপ ও আইনজীবী ও বিচারকদের চিত্রায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে, এটি বাস্তব-বিশ্বের পরিস্থিতির সাথে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি আরও বলেন যে, এ ধরনের সিনেমা গুলি বিচার বিভাগের অবস্থান এবং আইনজীবীদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করে। চন্দ্রভান এদিন তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ওপর জোর দিয়েই বলেছেন যে, তাঁর করা এই অভিযোগের প্রধান লক্ষ্য হল প্রযোজনার সময় চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই বিষয়গুলিকে বিবেচনায় নেয় তা নিশ্চিত করা।
অভিযোগটি নিয়ে একাধিকবার সিনেমাটির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় চন্দ্রভানকে। তিনি তাঁর করা মন্তব্যের দ্বারা বারবার ছবির মধ্যে ব্যবহার করা সংলাপ ও বিচারক মহলের ভাবমূর্তিকে খর্বকরা হচ্ছে বলে শব্দের তীর দ্বারা বিঁধতে থাকেন। তিনি তাঁর করা অভিযোগ সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন যে,”জলি এলএলবি-র প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক ও অভিনেতারা দেশের বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মানকে সম্মান করেন না।” তিনি এদিন আরও বলেন, “জলি এলএলবি ৩-এর শুটিং চলছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস সহ আজমেরের আশেপাশের গ্রাম ও এলাকায়, যা এই ছবির শুটিং চলাকালীনও বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, সম্মান এবং মর্যাদা বজায় থাকবে বিচারকসহ, বিষয়টিকে মোটেও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয় না।”