সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বৃহস্পতিবার সকাল ৮:২০ নাগাদ না ফেরার দেশে চলে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শয্যাশায়িত ছিলেন।তাঁর মৃত্যুতে অনুরাগী, বন্ধু,পরিবার,সহ-নেতারা শোকে পাথর হয়ে গেছেন।বাম জামানার শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব।লাল কমরেড উত্তর কলাকাতাতে জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন। সেই সময় জগত মুখার্জি পার্কের পাশে একটি চায়ের দোকানে তাঁর সহপাঠী এবং পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা জমত।
[ আরও পড়ুন: বীরাঙ্গনার অজানা কথা, ৪২-এর আন্দোলনের যোদ্ধা, স্বাধীনতার জন্য জীবন সঁপেন]
বামনেতার পুরনো পাড়ার এক প্রতিবেশী বুদ্ধদেব বক্সি জানিয়েছেন, সেই সময়কার দিনগুলো খুবই সুখের ছিল। ‘আমার মামার সঙ্গে কথা হত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তবে সেই সময় আমরা ভয়ে সামনে আসতে পারতাম না। বুদ্ধদেববাবুর কাকা রাখাল ভট্টাচার্য্য আমাকে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী নিয়ে পড়াশোনা করছিস, ভবিষ্যত নিয়ে কী পরিকল্পনা। উনি সবসময় সকলকে সৎ পথে থেকে কাজ করার পরামর্শ দিতেন।’এছাড়াও শৈশবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে খূব ভালো ক্রিকেট খেলতেন সেকথাও জানালেন জগত মুখার্জী পার্কে থাকা তাঁর সহপাঠী তাপস দত্ত। তিনি বলেন, ‘ওঁর আড্ডা দেওয়ার জায়গার মধ্যে অন্যতম ছিল জগত মুখার্জী পার্কের পাশের এই চায়ের দোকান। রাজনীতিতে পা রাখা থেকে শুরু করে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়া, সবটা নিজের চোখে দেখেছি। এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সবাইকেই তো একদিন না একদিন যেতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্মান জানাতে আসেন। এরপরেই বুদ্ধদেবের মৃতদেহ পিস হেভেনে নিয়ে যাওয়া হয়। যাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা সকলেই শেষবারের মতো বুদ্ধদেবকে দেখতে পান তারজন্য শুক্রবার সেখান থেকে আলিমুদ্দিনে দেহ নিয়ে আসা হবে।বুদ্ধবাবুর শরীর দান করা আছে, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। তারপর সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এমনকী, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে বুদ্ধদেব বাবুর শেষ বিদায় জানানোর কথাও বলা হয়েছে।