চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত। দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাদের। একসময় ডুবে থাকতেন এক-অপরের ভালোবাসায়। তবে সেই সম্পর্কেও চিড় ধরেছে। দীর্ঘ চার বছর ধরে এক ছাদের তলায় আর থাকছেন না ইন্দ্রনীল-বরখা। শোনা গিয়েছিল, সম্পর্কে নাকি তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটেছিল।
শুধু তাই নয়, ইন্দ্রনীলই চেয়েছিলেন এই বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে। আর সেই কারণেই নাকি ছাদ আলাদা হয়েছে দুজনের। যদিও এতদিন পর্যন্ত নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেনি ইন্দ্রনীল-বরখা দুজনেই। তবে এবার নীরবতা ভাঙ্গলেন বরখা। বললেন তিনি বিয়েটা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ইন্দ্রনীল ডিভোর্স চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বরখা বলেন, চার বছর সেপারেশনে থাকার পর বরখা-ইন্দ্রনীলের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা শুরু হয়। কেন নিরুপায় হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা? ঠিক কী বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে?
বরখার কথায়, “চার বছর সেপারেশনের পর্বটা আমার জন্য খুব কষ্টের ছিল। জীবনে আপাতত কীভাবে মুভ অন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি। একটা সময়ে ইন্দ্রনীলকে ঘিরেই আমার জীবন ছিল। এখন নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছি।” পনেরো বছরের দাম্পত্যে কেন ভাঙন ধরল? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন স্বামী ইন্দ্রনীলের দিকেই বল ঠেলে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
বরখার সংযোজন, “আমি ভীষণভাবে বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইন্দ্রনীল সম্ভবত নিজের মতো করে জীবনটা শুরু করতে চেয়েছিল। তাই ডিভোর্স চেয়েছে। আমিও জোর করিনি। কারণ জোর করে কাউকে সম্পর্কে আটকে রাখা যায় না। ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি।”
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মার্চ মাসে গাঁটছড়া বাঁধেন ইন্দ্রনীল- বরখা। বিয়ের তিন বছর পর জন্ম হয় জুটির মেয়ে মীরার। বিচ্ছেদের পরে মূলত বরখার সঙ্গেই থাকে মীরা। তবে ইন্দ্রনীলও মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন মেয়ের সঙ্গে ছবি। সবমিলিয়ে বলা যায় দীর্ঘদিনের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন সত্যি করেই এবার পুরোপুরি আলাদা ইন্দ্রনীল-বরখা।