Bangla Jago Desk : গাছের প্রাণ আছে! একথা বহুকাল আগেই গবেষণায় সফল হয়ে জানিয়েছিলেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু। সেইসময় থেকে এখনও পর্যন্ত একাধিক পরীক্ষায় উঠে এসেছে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য। এবার পরীক্ষায় উঠে এসেছে আরও সুন্দর ও মন ভালো করে দেওয়ার মতো বিষয়। পরীক্ষার বলা গবেষণায় সফল হয়ে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন এমন বেশ কিছু গল্প মন ভালো করে দেবে আপনারও। আর আপনিও যদি গাছ ভালোবাসেন, তবে এই কাজ গুলি অবশ্যই করুন। যাতে গাছ ও আপনার, দুজনেরই মন ভালো থাকে।
১। জানেন গবেষণায় বলা হয়েছিল যে, আপনি যদি গাছের সঙ্গে কথা বলেন অর্থাৎ আপনি যদি কোনও চারাগাছ কিনে আনেন কিংবা চারগাছ বসিয়ে থাকেন ঘরের বাগানে, সেখানে প্রতিদিন আপনি যদি গাছের সঙ্গে কথা বলেন তবে সেই গাছটি আরও ভালো করে বড় হবে। একটি গাছকে যত বেশি যত্ন করবেন এবং পজিটিভ ভাইব দেবেন ততই বেশি ভালো করে গাছটি বড় হবে। একটি শিশুর মতোই গাছ ও আপনার ভালোবাসা চায়!
২। রয়্যাল হর্টিকালচার সোসাইটি (আর এইচ এস) এর মতামত অনুসারে, গাছের সঙ্গে বললে এক অদ্ভুত পরিবর্তন আপনার চোখে পড়বে। তাছাড়াও একজন পুরুষ কন্ঠের চেয়ে মহিলার কন্ঠস্বরে আরও বেশি পরিবর্তন চোখে পড়ে। একজন পুরুষ কন্ঠস্বর এর থেকে মহিলা কন্ঠস্বর গাছের দ্রুত বিকাশ ঘটায়। যা আর এইচ এস-এর এক
পরীক্ষা থেকে স্পষ্ট।
৩। একটি গাছের সঙ্গে কথা বললে এবং তাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা ছাড়াও তাদের বেড়ে ওঠা, দেখভাল করার মাধ্যমে প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সংস্পর্শে আসা যায় মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।
৪। অনেকে এও মনে করেন যে, একজন মানুষ যদি গাছের সঙ্গে কথা বলেন, তা কোনও এক পাহাড়ের পাইন বোন হোক কিংবা ঘরের কোণে রাখা কোনও জাদে পোথস’ই হোক না কেন! মনকে রাখবে ভালো ও ভীষণ স্ট্রেসরিলিফ হতেও সাহায্য করবে দৈনিক জীবনে জমে থাকা নানান ঘটনা গুলি থেকে।
৫। গাছ কথা বলতে পারে না ঠিকই কিন্তু শুনতে ঠিকই পায়! সেই মিথকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কথা বলুন, ভালোবাসায় রাখুন নিজের বাগান কিংবা ইনডোর গাছ গুলিকে। দেখবেন সেই পজিটিভ এনার্জির জেরেই খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে আপনার সেই গাছ।
৬। দৈনিক মেডিটেশন এর জন্য প্রতিদিন গাছের সঙ্গে কথা বলা উচিত বলেই দাবী করছেন চিকিৎসকেরাও। কারণ যখন আপনি জানেন যে, আপনি যাই কথা বলেন না কেন! উল্টো দিক থেকে আপনাকে কেউ বিচার করবে না, তখন আপনি আরও বেশি মন খুলে কথা বলতে পারবেন। তাই এটা মেডিটেশন এর সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্রেসরিলিফ এর জন্যও ভীষণ কার্যকর।