চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: সৈয়দ তানভীর নাসরীন : এই প্রশ্ন ওঠার কারণ গত এক বছর ধরে প্যালেস্টাইনে যে ‘রক্তস্নান’ চলছে, তাতে যেমন একচল্লিশ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে, তেমনই গত ৪২ বছরে এই প্রথমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলি প্রস্তাব পাস করে ইজরায়েলকে তাদের দখলীকৃত জমি ছাড়তে বলেছে। এখানেই শেষ নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলি আরও এক ধাপ এগিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে ইজরায়েলের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ গত অর্ধ শতকে কখনওই রাষ্ট্রপুঞ্জকে খুব একটা পাত্তা দেয় না, তাদের নিষেধাজ্ঞাকে তো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে। কারণ, তেল আভিভ জানে তার আমেরিকার মতো ‘মুরুব্বি’ আছে, যারা সমস্ত ঝড় সামলে দেবে। এবারেও ইজরায়েল রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রস্তাব বা নিষেধাজ্ঞাকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি। কিন্তু আরও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, নরেন্দ্র মোদির ভারতবর্ষও তার এত দিনের পররাষ্ট্র নীতি ছেড়ে প্যালেস্টাইনের পাশে না দাঁড়িয়ে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভোটগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে। হতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেহেতু ‘মুসলিম বিদ্বেষ’কেই পুঁজি করতে চায়, তাই তারা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আনা প্রায় সর্বসম্মত প্রস্তাবেও নিজেদের ভোট দেয়নি।
নয়াদিল্লি কী করল, সেই নিয়ে আলোচনার চাইতে বেশি জরুরী একটি স্বাধীন, সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা কতটা দেখা দিয়েছে? ইজরায়েলের প্যালেস্টাইনে গত এক বছর ধরে চালানো গণহত্যার পরে গোটা বিশ্বজুড়ে যে আলোড়ন উঠেছে, এবং প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যেভাবে জোরালো স্বর শোনা যাচ্ছে, তাতে হয়তো আমরা আশা করতেই পারি সকলে এবার একটা চিরস্থায়ী সমাধানের কথা ভাবতে বাধ্য হবেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাম্প্রতিকতম প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ সৌদি আরবের শাসক, যুবরাজ মহম্মদ বিন সুলেমান ওরফে ‘এমবিএস’, পরিষ্কারই বলে দিয়েছেন স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠন এবং তার রাজধানী হিসাবে জেরুজালেম (পূর্ব)-কে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব ইজরায়েলের সঙ্গে কোনওরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না। গত এক দশকের আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকে পরিষ্কার, ‘এমবিএস’-এর সৌদি আরব তাঁর দেশের সনাতন বিদেশনীতি, অর্থাৎ আমেরিকার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরতা সরিয়ে ওয়াশিংটনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেইজিংয়ের সঙ্গে সখ্য বাড়াচ্ছে। ‘এমবিএস’-এর উদ্যোগেই সৌদি আরবে চিনের সঙ্গে আরব দেশগুলির শীর্ষ বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেই বৈঠকে খোদ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং হাজির ছিলেন। পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে যাবতীয় সমীকরণকে উলটে দিয়ে চিনের দৌত্যেই দুই চিরশত্রু দেশ, ‘সুন্নি’ সৌদি আরব এবং ‘শিয়া’ প্রভাবিত ইরান নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মিটিয়ে নিয়েছে। তাই প্যালেস্টাইন বিষয়ে এখন ইরান, সৌদি আরব এবং মুসলিম দুনিয়ার আর এক ‘পাওয়ার হাউজ’ তুরস্কও একই সুরে কথা বলছে। এবং রাজনীতির অমোঘ নিয়মে আমেরিকার বিরুদ্ধে অক্ষকে মজবুত করতে সৌদি আরব-ইরান-তুরস্কের সঙ্গে সখ্য ও যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছে শি জিন পিংয়ের চিন এবং ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া।
তাহলে কি আন্তর্জাতিক রাজনীতির যে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে, তা প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের জন্য সহায়ক? রাজনৈতিকভাবে যেটা তাৎপর্যপূর্ণ সেটা এই যে, আন্তর্জাতিক আদালতে ইজরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী বলে প্রমাণ করার মামলা করা বা ক্রমাগত গোটা বিশ্ব জুড়ে ওয়াশিংটন-তেল আভিভের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করায় যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে, তারা এতদিন বেইজিং বা মস্কোর খুব বন্ধু বলে পরিচিত ছিল না। যেমন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-এ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মূল মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আসলে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে আমেরিকা যে চেষ্টাটি করেছিল, অর্থাৎ পুতিনের মস্কোকে বিশ্বে একঘরে করে দেওয়ার, কার্যত ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত তার উলটোটাই করেছে। অর্থাৎ, বিশ্ব রাজনীতিতে, এই মুহূর্তে ইজরায়েলের ‘বন্ধু’ যেমন হাতে গোনা, তেমনই আমেরিকার পরামর্শ মেনে চলার দেশও ক্রমশ কমে আসছে। আর বিশ্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতা মেনে ওয়াশিংটন যেমন ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে শান্তিচুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে তৎপরতা দেখিয়েছে, তেমনই জানে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে প্যালেস্টাইন সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার।
তার কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে প্যালেস্টাইন গোটা বিশ্বের মুসলিম মনন এবং আবেগের সবচেয়ে বড় প্রতীক। ইজরায়েলের সঙ্গে যেসব মুসলিম দেশগুলি গত এক দশকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগিয়েছিল, সেইসব দেশেও গত এক বছরে তীব্র ইজরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ইরান, সৌদি আরব, বা তুরস্কের মতো বড় এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির কথা ছেড়ে দিলেও অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিও ইজরায়েল নিয়ে তিতিবিরক্ত। আর তাদের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে গিয়েছে নিজের নিজের দেশে মুসলিম মানুষের ক্ষোভ। এমনকি গত কয়েক মাসে মার্কিন মুলুকেও প্যালেস্টাইনের সমর্থনে প্রবল বিক্ষোভ হতে দেখা গিয়েছে। খাস মার্কিন মুলুকে অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ডেমোক্র্যাটরা যে প্রগতিশীল রাজনীতির কথা বলে, সেটাকেও গত কয়েক মাসে যথেষ্টই আলগা দেখিয়েছে জো বাইডেনের ইজরায়েল নীতির জন্য। মার্কিন মুলুকের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেন ৮৩ বছরের জো বাইডেনকে যে শেষ পর্যন্ত ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে যেতে হল, তার কারণ আমেরিকার তথাকথিত উদারনৈতিক, প্রগতিশীল অংশটি প্যালেস্টাইন নিয়ে জো বাইডেনের একপেশে কূটনীতিতে যারপরনাই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। ‘কালার্ড ওম্যান’ কমলা হ্যারিস সেই তুলনায় অনেক প্রগতিশীলের পছন্দের প্রার্থী, কারণ তাঁর স্বামী ইহুদি হলেও তিনি মার্কিন কংগ্রেসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তৃতা বয়কট করার সাহস দেখাতে পারেন। গোটা আমেরিকা জুড়ে যেভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের কারণে বিক্ষোভ হয়েছে, তাতে আমেরিকা, যে আমেরিকা সবসময়ই পরোক্ষে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ’কে সমর্থন করে বলে অভিযোগ ওঠে এবং সেই কারণেই ইজরায়েলের পিছনে সমর্থক হিসাবে দাঁড়িয়ে যায়, তাকেও নতুন করে হিসেব-নিকেশ করতে হচ্ছে।
এমন নয় যে, আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে এবং মুসলিম মনের ক্ষত জুড়োতে কী করতে হবে, তা জানে না। সেই কারণেই তো বিল ক্লিন্টন ইজরায়েল এবং সেইসময় প্যালেস্টাইনের সর্বোচ্চ নেতা, পিএলও প্রধান ইয়াসের আরাফতকে এক টেবিলে এনে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় দুই দেশেরই কট্টরপন্থীরা সেই শান্তি চুক্তি, অসলো চুক্তিকে, কার্যকর করতে দেয়নি। ইজরায়েল আরও এক ধাপ এগিয়ে ইয়াসের আরাফতকে সরিয়ে প্যালেস্টাইনের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের জায়গায় হামাসকে এনে যে ‘সর্বনাশ’ করেছিল, আজ তার চড়া দাম তাদেরই দিতে হচ্ছে। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বা ইজরায়েলের সমাজব্যবস্থার কট্টরপন্থী অংশকে বাদ দিলে অনেকেই বোঝে, যেভাবে তেল আভিভ গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে গত তিন দশক ধরে অত্যাচার এবং দমন-পীড়ন চালিয়ে এসেছে, তা যেমন সঙ্গত কাজ নয়, তেমনই রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েলের জন্য, শান্তিপ্রিয় ইহুদিদের জন্য ‘বিপজ্জনক’ও হয়ে উঠতে পারে। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবরের হামাসের আচমকা হামলা সেই ‘বিপদ’কে একেবারে পরিষ্কার করে দিয়েছে। তারপরে গত এক বছর ধরে ইজরায়েল প্যালেস্টাইনকে ‘শ্মশান’ বানিয়ে দিয়েছে। হাজারে হাজারে মানুষ মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে বড় অংশই শিশু কিংবা মহিলা। আমেরিকার ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ’ বা ইউরোপের ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ ইজরায়েলের এই গণহত্যার অপরাধকে ঢেকে দিতে পারেনি। ঢেকে দিতে যে পারেনি, তারই প্রমাণ রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সমর্থনে প্রস্তাব পাস হওয়া, যে প্রস্তাব শুধু ইজরায়েলের নিন্দে করে না, কার্যত তেল আভিভের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করে।
গোটা বিশ্ব জুড়ে একটা চালু মিথ হচ্ছে যে, ইজরায়েলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যায় না! প্রযুক্তির দিক থেকে, তাদের ‘ইনটেলিজেন্স এজেন্সি’-র ক্ষমতার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া মুশকিল। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা কিন্তু প্রমাণ করে দিয়েছিল ইজরায়েল এবং তাদের বিশ্ববিখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ নিয়ে যত গল্পকথা তৈরি হয়, তা আসলেই আমাদের এখানকার অনেক ইউটিউব চ্যানেলের প্রোপাগাণ্ডার মতো! আর ইজরায়েলের যেমন প্রযুক্তি আছে, আজকের পৃথিবীতে সৌদি আরব বা কাতারের মতো দেশের ‘ফিনান্সিয়াল পাওয়ার’ও কম নয়। আমেরিকার প্রায় সব তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাতেই সৌদি এবং কাতারের ধনকুবেরদের বিনিয়োগ বিরাট অঙ্কের। এটাও মনে রাখতে হবে, এমনকি ভারতবর্ষের যেসব ধনকুবেরকে নিয়ে প্রতিনিয়ত মিডিয়া চর্চা করে, তাঁদের কোম্পানিতে আদতে কিন্তু সৌদি আরব এবং কাতারেরই বড় বিনিয়োগ রয়েছে। তাই বিশ্ব রাজনীতির এই জটিল আবহে আমেরিকা এবং ইউরোপকে যেমন রাশিয়া-চিনের অক্ষকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে, তেমনই মস্কো বেইজিংয়ের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে হাঁটা ইরান-সৌদি আরব-তুরস্ককে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন যে শব্দটি আজকাল গুরুত্ব পাচ্ছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যে শব্দটি প্রায়শই উচ্চারণ করেন, সেই ‘গ্লোবাল সাউথ’ও তো চায় প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান হোক। বিশ্ব রাজনীতির এই ভারসাম্য বদল কি আমেরিকাকেও বাধ্য করতে পারে বিল ক্লিন্টনের সেই প্রস্তাবিত ‘টু স্টেট থিওরি’-র দিকে ইজরায়েলকে ঠেলে দিতে?
স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের জন্য কী দরকার? প্রথমটি অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জই নির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছে। ইজরায়েলকে প্যালেস্টাইনের দখলীকৃত জমি ছাড়তে হবে। গত ৩০ বছর ধরে ইজরায়েল প্যালেস্টাইনকে একটা উন্মুক্ত আকাশের তলায় বাস করা কয়েক লক্ষ মানুষের কারাগারে পরিণত করেছে। গত এক বছরে অবশ্য সেই ‘অবরুদ্ধ’ প্যালেস্টাইনের যাবতীয় পরিকাঠামোকেও ইজরায়েলই ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু এবার গোটা বিশ্ব চায় ইজরায়েল এই ‘দখলদার’ এবং ‘হামলাবাজ’ পরিচয় থেকে বেরিয়ে আসুক। তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে প্যালেস্টাইনকেও এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যা নিজেদের ‘জঙ্গি’ পরিচয় দেওয়ার চাইতে, প্যালেস্টাইনের মানুষদের সুশাসন এবং শান্তি দেবে। গত শতকের নয়ের দশকে বিল ক্লিন্টনের উদ্যোগে অসলো শান্তি চুক্তি হয়েছিল ইজরায়েল এবং পিএলও-এর মধ্যে। সেই শান্তি চুক্তি কার্যকর হয়নি। হয়তো আরও দুই দশক কেটে যেতে পারে, কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতা প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নকে বাস্তব চেহারা দিতে পারে।
প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলে শুধু যে গোটা বিশ্বের মুসলিম মনের ক্ষতে প্রলেপ পড়বে তাই নয় আসলেই গত এক শতকে সবচেয়ে বড় ‘ফ্ল্যাশ পয়েন্ট’ই নিরসন হবে।