গ্রাফিক্স: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছিলেন আগেই তাতে মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার পদক্ষেপ করা হল কমিশনের তরফে। এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন হতে চলেছে। এই একটি বিধানসভা ক্ষেত্রে সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৫৮৪০ জনের নাম বাদ গিয়েছে।
এই ঘটনায় ফের রাজনৈতিক চর্চায় ভূতুড়ে ভোটার ইস্যু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল কালীগঞ্জ। গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়েছে সংশোধিত ভোটার তালিকা। কালীগঞ্জ বিধানসভার সংশোধিত ভোটার তালিকায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৫৮৪০ জনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তালিকায় বলা হয়েছে ড্রাফট এনরোলমেন্ট হয়েছিল পুরুষ ভোটারের ক্ষেত্রে ১,৩১,৬৯৩। এবং চূড়ান্ত ক্ষেত্রে তা দাঁড়িয়েছে ১,৩০,৩৬৩। অন্যদিকে, মহিলা ভোটারের ক্ষেত্রেও বাদ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু নাম।
এখানে ড্রাফট এনরোলমেন্ট হয়েছে ১,২৩,২৭১। সেটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে সংশোধিত ভোটার তালিকায় এসেছে ১,২২,৩০৩। অর্থাৎ এই কেন্দ্রের সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে ৫৮৪০ জন ‘ডিলিট’ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে আড়াই লক্ষের কিছু বেশি ভোটার সমৃদ্ধ কালীগঞ্জ বিধানসভার ক্ষেত্রে যদি ৫৮৪০ জন মৃত অথবা ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম বাদ যায় তা হলে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা কোন পর্যায়ে যেতে পারে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছিলেন, প্রথমে তাতে খুব একটা আমল দেয়নি কমিশন। তবে পরে যখন প্রমাণ-সহ কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস, তখন নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় কমিশন।
একটা বিধানসভা ক্ষেত্রে যে সংখ্যক ভুয়ো ভোটার বাদ গিয়েছে, তাতে গোটা রাজ্যে এই সংখ্যাটা ভেবে আতঙ্কিত ওয়াকিবহাল মহল। এবার দাবি উঠবে, সেই ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করে দ্রুত বাদ দেওয়া হোক। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভোটার তালিকায় এই ভূলের দায় কার? নির্বাচন কমিশনের বর্তমান সিইও জানিয়েছেন, ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা দিয়েই রাজ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর সেটাই হওয়া উচিত। কোনও রাজনৈতিক দল যেন বাড়তি সুবিধা না পায়।