ad
ad

Breaking News

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

স্বাধীনতা সংগ্রামীর পুত্র জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারিতে হতবাক গ্রামবাসী

  Bangla Jago Desk: বাংলার রাজনীতিতে বহু চড়াই উতড়াই পেরিয়ে উঠে এসেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। মন্তেশ্বরের খাঁপুরেই তাঁদের বাড়ি। দেশের মুক্তি সংগ্রামে সামিল হওয়া শক্তিপদ মল্লিকের পরিবারকে এলাকার মানুষ আলাদা চোখে দেখে। গাঁয়ের রাস্তাঘাট থেকে পড়াশোনার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজেও মল্লিক পরিবারের সদস্যরা নানা ভূমিকা নেন। তবে ব্যবসার জন্য দীর্ঘদিন […]

 

Bangla Jago Desk: বাংলার রাজনীতিতে বহু চড়াই উতড়াই পেরিয়ে উঠে এসেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। মন্তেশ্বরের খাঁপুরেই তাঁদের বাড়ি। দেশের মুক্তি সংগ্রামে সামিল হওয়া শক্তিপদ মল্লিকের পরিবারকে এলাকার মানুষ আলাদা চোখে দেখে। গাঁয়ের রাস্তাঘাট থেকে পড়াশোনার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজেও মল্লিক পরিবারের সদস্যরা নানা ভূমিকা নেন। তবে ব্যবসার জন্য দীর্ঘদিন কলকাতা নিবাসী। স্কটিশ চার্চ স্কুলের ছাত্র, পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা বালুর। অশোক দেবের হাতে ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেই বালুর নামই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে। গ্রামের সরল মানুষেরা রাজনীতির জটিল কথা বোঝেন না। তবে তাঁরা গ্রামের জেলের এই গ্রেফতারিতে হতবাক। জ্যোতিপ্রিয়ের আত্মীয়রা টিভির পর্দায় দেখতে পান, তাঁদের বালুদা গ্রেফতার হয়েছেন! এই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ায় এখন  গ্রামের বাসিন্দাদের মন খারাপ।

তাঁরা সমস্বরে জানাচ্ছেন, জ্যোতিপ্রিয় গ্রামের উন্নয়ন করেছেন প্রচুর। রাস্তাঘাট, আইটিআই, জল প্রকল্পও গ্রামে এসেছে বালুর জন্যই। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হয়েছেন ED র হাতে, একথা জানার পর এখন খাঁপুর এলাকায় একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের সদস্যের রাজনৈতিক জীবনে কী উল্কার মতো পতন হবে? থমকে যাবে গ্রামের উন্নয়ন? জন্মভূমি মন্তেশ্বর হলেও শস্যগোলার জেলা ছেড়ে তিনি কলকাতামুখো হন। সংগঠনের ভিত গড়ে দলে নিজের দাপট দেখান। দল যখনই তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে,তা দক্ষতার সঙ্গে সামলে প্রমাণ করেছেন প্রতিপক্ষ শিবিরকে কিকরে পিছনে ফেলতে হয়। শোনা যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্য মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক সংহত করতে সমর্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। বড়মা থেকে মঞ্জিল কৃষ্ণ ঠাকুর সবার কাছেই তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। গাইঘাটা বিধানসভায় বিরোধীদের পিছনে ফেলে ঘুঁটি সাজিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ২০০০-এর বন্যায় নিজের উদ্যোগে লরি-ভর্তি ত্রাণ আর লোকলস্কর নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন গাইঘাটা-ঠাকুরনগরের দুর্গত এলাকায়। বাম জমানায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছনোর আগেই নিজের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

২০০১-এ ওই এলাকায় তৃণমূলের টিকিটের দাবিদার ছিলেন অনেকেই। কিন্তু লড়াকু-সংগঠক, জ্যোতিপ্রিয় ছাড়া কাউকে আর ভাবতে পারেননি শীর্ষ নেতারা। সেই গাইঘাটা-সহ মতুয়াগড়ে তাঁর প্রভাব এখনও যে রয়ে গেছে তা বলাই যায়। রাজনীতিতে উথ্থান পতন প্রকৃতির নিয়ম। দোষ-গুণ বিচার হবে আদালতে। হাবড়া-অশোকনগর-গাইঘাটা থেকে বসিরহাটের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ বলছেন, আইন আইনের পথে চলবে, তবে বালুদা দার মতো দক্ষ সংগঠক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। শোনা যাচ্ছে বালু-র ডানহাত বাকিবুরের টাকা নাকি খেটেছিল ম্যানগ্রোভ সিনেমায়। অভিনয় করেছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ওই সিনেমার প্রিমিয়ার দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাই রাজনীতির জগতের সঙ্গে রূপোলী পর্দার কিভাবে যোগসূত্র গড়ে উঠল তা জানার জন্য মুখিয়ে রাজ্যবাসী।

Free Access