ad
ad

Breaking News

তৃণমূল

নজরে ২৪-এর নির্বাচন! বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চ থেকেই প্রচার শুরু শাসক দলের

Bangla Jago Desk: পুজো শেষ হতেই বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে লোকসভা ভোটের আগে অনেকটাই জনসংযোগ সেরে ফেলল রাজ্যের শাসক দল। কোন কোন এলাকায়, কী কী সমস্যা রয়ে গিয়েছে তার তথ্য পেল ঘাসফুল শিবির। বহু এলাকাতেই পুরনো কর্মীদের ময়দানে নামাল শাসকদল। নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব মেটাতে একই মঞ্চে হাজির করা দলের নেতা কর্মীদের। এদিনই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুঝে […]

Bangla Jago Desk: পুজো শেষ হতেই বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে লোকসভা ভোটের আগে অনেকটাই জনসংযোগ সেরে ফেলল রাজ্যের শাসক দল। কোন কোন এলাকায়, কী কী সমস্যা রয়ে গিয়েছে তার তথ্য পেল ঘাসফুল শিবির। বহু এলাকাতেই পুরনো কর্মীদের ময়দানে নামাল শাসকদল। নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব মেটাতে একই মঞ্চে হাজির করা দলের নেতা কর্মীদের।

এদিনই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুঝে নেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মী সমর্থকরা লোকসভা ভোটের আগে রাস্তায় নামছেন কি না? ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী গ্রেফতারের পরেও প্রভাব গ্রামাঞ্চলে রয়েছে কি না তা বুঝে নিল রাজ্যের শাসকদল। পুজোর পর দলের এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান গুলি হয়ে উঠেছে কার্যত জনসংযোগ সভা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তাড়িই পাশাপাশি মঞ্চে সেই সমস্ত নেতা কর্মীদের সংবর্ধনাও দেওয়া তাঁদের এবং তাঁদের কাছ থেকে লোকসভা ভোটের আগে সমস্ত রকম পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান থেকে দলের নজরে যে যে রিপোর্ট এসেছে–

১ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা চোখে পড়ছে সব সভাতেই।

২. সভাগুলিতে রাজ্য কমিটির একজন অন্তত নেতা উপস্থিত থাকছেন।

৩. ১৯৯৮ সাল অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার দিন থেকে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন সেই পুরনো নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে এই বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে।

৪. জেলায় দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব থাকছেন মঞ্চে।

সবমিলিয়ে দলের নতুনরা তো আছেনই, সঙ্গে পুরনো সিনিয়র নেতা-নেত্রীরাও বিজয়া সম্মিলনীর সভায়-মঞ্চে যথাযথ মর্যাদায় উপস্থিত থাকায় ও মাঠে নামায় সভাগুলির গুরুত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনই ধারে ও ভারে বিরোধীদের বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসই বাংলার মানুষের কাছে একমাত্র বিকল্প। অন্য কোনও দল নয়। সভাগুলি পরিণত হচ্ছে সমাবেশে।

বহু জায়গায় কার সঙ্গে কার দ্বন্দ্ব তাও জানা যাচ্ছে, জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলিতে মঞ্চের ব্যাকড্রপে ব্যবহার হয়েছে দুটি ছবি। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যদিকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ দু’জনের কেউই উপস্থিত নেই সব সভায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাজ সামলাচ্ছেন। ভবানীপুর বিধানসভায়, দলের বিজয়া সম্মেলনীতে তিনি ছিলেন। ওই কেন্দ্রের বিধায়কও মুখ্যমন্ত্রী তিনি নিজেই। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ডায়মন্ড হাবড়ার লোকসভা কেন্দ্রে।

কিন্তু তাঁদের ছবিকে সামনে রেখেই কর্মীদের ভিড় হচ্ছে চোখে পড়ার মতো। ফলে সশরীরে দুই হেভিওয়েট উপস্থিত না থাকলেও, তাঁদের ছবিকে ঘিরেই উৎসাহ-আবেগ নেতা কর্মীদের মধ্যে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথমে ৫০০ টি সভার টার্গেট রাখলেও দেখা যাচ্ছে সভার সংখ্যা ১২০০ তে ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতি মধ্যেই। ওয়ার্ডগুলিতেও বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। এভাবে এই পর্যায়ে একবারে ৩০ লাখ সাংগঠনিক কর্মীকে মাঠে নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের কাছে প্রত্যক্ষ ভাবে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের ঘাসফুল শিবির, এমনটাই মত দলের অন্দরে। রাজ্যের শাসক দলের অন্দরের রিপোর্ট, জেলায় জেলায় সভাগুলিতে উপচে পড়ছে সাধারণ মানুষের ভিড়৷ বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি নজর কাড়ছে সব সভাতেই। মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চায় রাজ্যের ঘাসফুল শিবির। তাই দলের মহিলা নেত্রীদের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে   বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

Free Access