Bangla Jago Desk, রাজাগোপাল ধর চক্রবর্ত্তী: শেখ হাসিনা গত ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। ভারতের কিছু পত্র পত্রিকা ও টেলিভিশন মাধ্যম বলার চেষ্টা করছে যে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপ মার্কিন সামরিক হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করায় হাসিনা মার্কিন রোষে পড়েছেন। কোনো প্রসিদ্ধ পশ্চিমী মিডিয়া এটা নিয়ে কোনো খবর করে নি। এমনকি, এই হস্তান্তর হলে যে দেশের সব চেয়ে বেশি চিন্তার কারণ হতে পারতো সেই চিন সরকারী ভাবে কোনো মন্তব্য করে নি। চীনা কমুনিষ্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ উদ্ধৃতি দিয়েই খবর করেছে মাত্র। ইকোনমিক টাইমস হাসিনার উদ্ধৃতি তুলে ধরছে, “আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি সেন্টমার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব সমর্পণ করতাম এবং আমেরিকাকে বঙ্গোপসাগরে কর্তৃত্ব করতে দিতাম। আমি আমার দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ করছি, দয়া করে মৌলবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।” দ্য প্রিন্টের মতে, ছোট আকার সত্ত্বেও, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি মালাক্কা প্রণালী দিয়ে চীনা সামরিক ও পণ্যবাহী পরিবহনের ওপর নজরদারি সহজ হবে।
দ্য প্রিন্ট আরও জানিয়েছে, শুধু চীন নয়, এই স্থান থেকে ভারত ও মিয়ানমারের ক্রিয়াকলাপের ওপর নজরদারি যথেষ্ট সুবিধাজনক। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ঢাকার রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছেন। অভিযোগ এসেছে , একজন বরিষ্ট মার্কিন কূটনীতিক বাংলাদেশ সফরে এসে চীনের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য হাসিনাকে চাপ দিয়েছিল। এইসব ভারতীয় খবরের কাগজের রিপোর্টিং এর সাথে সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজের অধিকর্তা লিউ জংগির বক্তব্য তুলে গ্লোবাল টাইমস লিখছে, শেখ হাসিনা অনেক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলে নি, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রয়াস নিয়েছে । এই বাইরে সেন্ট মার্টিন নিয়ে আর প্রতিক্রিয়া নেই গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায়। অবশ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থবারের নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে গ্লোবাল টাইমস সোচ্চার ছিল :পশ্চিমী শক্তির হাতছানি উপেক্ষা করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় মর্যাদার এক নতুন স্থান তৈরী করেছেন। শেখ হাসিনার যে বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া উত্তাল, হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অবশ্য তা তার মায়ের নয় বলেই দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন, গত ২৭শে মে ২০২৪, ভারতের আউটলুক ম্যাগাজিনে হাসিনাকে নিয়ে একবড় স্টোরি হয়। হাসিনা সেখানে জানিয়েছিলেন, কিছু পশ্চিমী দেশ বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে এক ক্রিশ্চিয়ন দেশ বানানোর চেষ্টা করছে। এও বলেছিলেন , কোনো এক সাদা চামড়ার মানুষ প্রস্তাব রেখেছে, বাংলাদেশে কোনো এক দেশের বিমান ঘাঁটি করার সুযোগ দিলে, ৭ ই জানুয়ারীর নির্বাচন নির্বিঘ্নে ঘটবে। দেশের নাম না জানালেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বহু বছর ধরে কক্সবাজার-টেকনাফ উপদ্বীপের শেষ প্রান্ত থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ(আয়তন মাত্র ৩ বর্গ কিমি) সেন্টমার্টিন দ্বীপের দিকে নজর রাখছে। এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে ঢাকায় গুজব রটে যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আনুকূল্যের বিনিময়ে ওয়াশিংটন সেন্টমার্টিন দ্বীপ দাবি করছে। পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ।২০২৩ সালের ১৯শে জুন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশের জমি ব্যবহার করে আমেরিকা আসলে ভারতকে কব্জা করতে চায় ।
সেন্ট মার্টিন নিয়ে মার্কিন স্বার্থ :
মার্কিন নৌ বাহিনী সারা বিশ্বের সমুদ্র পথে বিস্তৃত। এযাবৎ কাল, বারোটা নৌবহর তৈরী হলেও বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় নৌবহর বা ফ্লিট উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর, আর্কটিক মহাসাগর, এবং হোমল্যান্ড ডিফেন্স নিয়োজিত, তৃতীয় নৌবহর পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, চতুর্থ নৌবহর দক্ষিণ আটলান্টিক এলাকায় ,পঞ্চম নৌবহর মধ্যপ্রাচ্য এলাকায়, ষষ্ঠ নৌবহর মূলত ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগর এলাকায় , সপ্তম নৌবহর জাপানের ইয়োকোসুকা থেকে সমগ্র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থাৎ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দশম ফ্লিট (সদর দফতর ফোর্ট মিড, মেরিল্যান্ড) সাইবার কমান্ড হিসাবে সক্রিয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম, অষ্টম, নবম, একাদশ, ও দ্বাদশ নৌবহর বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। বোঝাই যাচ্ছে, যে ভাবে চীন এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রাধান্য বাড়াচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একা সপ্তম নৌবহরের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন । অবশ্য, লজিস্টিক সহায়তা সরবরাহ করার জন্য ব্রিটিশ ভারত মহাসাগর অঞ্চলের চাগোস দ্বীপপুঞ্জের দিয়েগো গার্সিয়া মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তা সুবিধা কেন্দ্র রয়েছে । সবাই দূরে দূরে , চীনকে কাছ থেকে নজরদারি করার কিছু নেই। চীন এখন বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীর অধিকারী। এটা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির কাছে ৩৫৫টি ফ্রন্ট-লাইন যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, ছোট উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র নৌকা নিয়ে এটা ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর রয়েছে মাত্র ৩০৫টি ফ্রন্ট-লাইন জাহাজ। অবশ্য , নৌ সক্ষমতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই শক্তিশালী। চীনের তিনটি বিমানবাহী রণতরীর তুলনায় আমেরিকার ১১টি বিমানবাহী রণতরী এবং আরও পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন, ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। তবে চীন তার নৌবাহিনীকে আরও অনেক প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনী পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজের মোট সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়বে। চীন তার বিশ্বজোড়া বিনিয়োগ প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই)মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোতে ব্যাপক ভাবে ডুকে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে চীনের ওপর নজরদারি করতেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকার কাজে লাগবে। তা ছাড়া, পার্শ্ববর্তী মালাক্কা প্রণালী ধরে চীনের সব তেলবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। চীনের প্রয়োজনীয় জ্বালানির ৬০ শতাংশ বিদেশ থেকে আসে।
তাই এই জাহাজের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ চীনের কাছে, উল্টোদিকে এই গতিপথে বাধা আসলে চীনকে আর্থিক ভাবে ঠেলে ফেলা যায়। সব দিক বিবেচনা করে, চীনকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমেরিকা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঘাঁটি গড়তে চাইছে। শেখ হাসিনার বন্ধুত্বের ভরসা করে আমেরিকা এগিয়েছিল, কিন্তু হাসিনা সেভাবে আমল দেয় নি, অনেকটা চীনের চাপেই। চীন বাংলাদেশের কক্সবাজারের পেকুয়ায় বি এন এস শেখ হাসিনা নামে সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরী করেছে,খরচ করেছে ১২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের সেভাবে নৌবাহিনী নেই, সাবমেরিন ব্যবহারের প্রয়োজনীতাই বা কি? চীন না আমেরিকা এই দোলাচলে ছিলেন হাসিনা। সরকার পরিবর্তন হতেই আমেরিকা মাঠে নেমে পড়েছে। এখন বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার না থাকা, সঙ্গে প্রশাসন সামরিক বাহিনীর মুখাপেক্ষী হাওয়ায় কাজটা অনেক সহজ হবে। আমেরিকার সেন্ট মার্টিন দখল এখন সময়ের প্রতীক্ষা মাত্র। আমেরিকা সেন্ট মার্টিন দখল নিলে ভারতের কি অসুবিধা? আমেরিকা ও চীন পরস্পর প্রতিদ্বন্দী, আর্থিক সামরিক দুই দিকেই। দুই দেশী ভারতকে চায় নিজেদের স্বার্থে। ভারত ও আমেরিকা ইউএস ইন্ডিয়া কম্প্রইহেনশিব গ্লোবাল এন্ড স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ বা মার্কিন-ভারত বিস্তৃত গ্লোবাল এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব, ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি (আইসিইটি), কোয়াড এবং মার্কিন-ভারত-দক্ষিণ কোরিয়া ত্রিপক্ষীয় প্রযুক্তি উদ্যোগ বন্ধনে আবদ্ধ।
রাষ্ট্রসঙ্গের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদে আমেরিকার সমর্থন আছে , চীনের আছে পূর্ণাঙ্গ বিরোধিতা। পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে ভারতের সদস্যপদের প্রতি আমেরিকার সমর্থন আছে, চীনের নেই ।ভারত চীনের সঙ্গে আলাদা করে ব্রিকস ও সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানইজেসনে রয়েছে। আমেরিকায় এক বিরাট প্রভাবশালী ভারতীয় সম্প্রদায় আছেন যারা আমেরিকার ভারত নীতি নির্ধারণে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু চীনে এই ব্যাপারটাই অনুপস্থিত। আমেরিকা আমাদের জিনিষ কেনে, চীন বেচে। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে ভারত আমেরিকায় ৭৮.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জিনিষ বিক্রি করেছে, চীনকে বেচতে পেরেছে মাত্র ১৫.৩ বিলিয়ন। উল্টো দিকে আমেরিকা ভারতকে ৫০.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জিনিষ বেচেছে , যেখানে, চীন একই বছরে বেচেছে ৯৮.৫ বিলিয়ন। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কোনো সামরিক সংঘাত হয় নি , কিন্তু চীনের সাথে হয়েছে। গত সাত দশক ধরে ভারত ও চীন তাদের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ করছে। চীনারা ১৯৫০-এর দশকে তিব্বতকে জিনজিয়াংয়ের সাথে সংযুক্ত করার জন্য আকসাই চিনের মধ্য দিয়ে একটি সামরিক রাস্তা তৈরি করে। এই সেক্টরে চীনা উপস্থিতি নিয়ে ভারতের আপত্তিতে ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে তীব্র সীমান্ত সংঘাতের সমাপ্তিতে, চীন আকসাই চিনের প্রায় ১৪,৭০০ বর্গমাইল(৩৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার) দখল রাখে। ২০২২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ,পররাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এক প্রশ্ন উত্তরে জানিয়েছেন, ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান শাক্সগাম উপত্যকার ৫,১৮০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড অবৈধভাবে চীনের কাছে হস্তান্তর করেছে। ভারত সরকার ১৯৬৩ সালের চীন-পাকিস্তান ‘সীমান্ত চুক্তি’কে স্বীকৃতি দেয়নি। এরপর ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে হয় নাথুলা সংঘর্ষ।
১৯৬৭ সালের অক্টোবরে চো লা-তে আরেকটি সামরিক দ্বন্দ্বযুদ্ধ হয়। ২০২০ আলের ৫ই মে, প্যাংগং সো-তে ভারত ও চিনের টহলদারদের মধ্যে সংঘর্ষ ,ওই বছরের ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হয় যেখানে ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও চীন হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করলেও সংখ্যা গোপন রেখেছে। এছাড়া, ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সিকিমের নাকু লা এলাকায় , পরের বছর উত্তর সিকিম এলাকায় দু’পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০২২ সালে সীমান্তের তাওয়াং সেক্টরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের সেনারা। সমুদ্র পথেও ভারতের সামরিক বা ব্যবসায়িক গতিবিধির নজরদারি এবং প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে চীনা পরিকল্পনা প্রস্তুত ।মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলে কিয়াউকফিউ বন্দর নির্মাণ করছে। ভারতীয় নৌঘাঁটি-আইএনএস বর্ষার খুব কাছেই এর অবস্থান। এই নৈকট্যের ফলে চিন ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উপর নজরদারি চালাতে পারবে।
একই ভাবনা নিয়ে এর আগে কম্বোডিয়ায় নৌঘাঁটি, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা এবং পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর তৈরী হয়েছে। চীন বাংলাদেশকে যে সাবমেরিন দিয়েছে , তার মূল লক্ষ্য ভারতই। সম্পূর্ণ চীনের প্রযুক্তি দিয়ে তৈরী, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির সেনাদের। বাংলদেশ পতাকা নিয়ে এই সাবমেরিনগুলি অনায়াসে ভারতীয় নৌবাহিনীর আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের খবরাখবর নিতে পারবে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মার্কিন নৌবহর বা সেন ঘাঁটি ঘটলে, তা চীনের পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্থির। দুই বৃহৎ সামরিক শক্তি একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে, ভারতের অসুবিধা কোথায়? দু পক্ষই ভারতকে দলে পেতে খবরাখবরের আদান প্রদান হবে, আমাদের সুরক্ষা বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় আমেরিকার সমালোচনা ভারতের স্বার্থে নয়।