চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন আরও বেশি করে কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করা। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপথে তাই এগোতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট পরিকাঠামো তৈরি করে শিল্পদ্যোগীদের কাছে বাংলায় শিল্প স্থাপনের বার্তা দিয়েছেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে দেশের বড় বড় শিল্পপতিরা বাংলায় আরও বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। পর্যটন থেকে স্বাস্থ্য, পরিবহন থেকে আইটি সব ক্ষেত্রেই বাংলাকে দেশের সেরা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আর তখনই তা সম্ভব হবে যখন আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ আসবে। রাজের মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে তার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বাণিজ্য সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যেমন দেশ ও বিদেশের শিল্পপতিদের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছেন বাংলায় বিনিয়োগের জন্য, পাশাপাশি আলাদা ভাবেও তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যেমন মুকেশ আম্বানি বা সজ্জন জিন্দালদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে বাংলায় আরও বিনিয়োগের আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। টাটা গোষ্ঠীর কাছেও মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন বাংলার জন্য কিছু করার। ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি কলকাতার বিমান যোগাযোগ যাতে করা যায় সেই আবেদন রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একসময় ইউরোপের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি বিমান চালু থাকলেও বাম আমলে তা উঠে যায়। সরাসরি ইউরোপ-কলকাতা বিমান নতুন করে চালু করা সম্ভব হলে বাংলা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হবে। ইউরোপের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজ হলে পর্যটন থেকে আইটি, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই বাংলা বিশেষ সুবিধা পাবে। যত যোগাযোগ বাড়বে তত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আদান-প্রদান বাড়বে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চান টাটা গোষ্ঠী এই বিমান পরিষেবা নতুন করে চালু করুক। আলোচনা সদর্থক বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষুদ্রশিল্পে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলা। আরও বেশি করে বাংলার ছেলেমেয়েরা যাতে কাজের সুযোগ পায় তার জমি তৈরি করতে চাইছেন। যে উর্বর জমিতে বাংলার যুবসমাজ কাজের দিশা পাবে। বর্তমান প্রজন্ম যেন কাজের অভাব বোধ না করে। শিক্ষিত সমাজের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে কাজের দরজা খুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই উদ্যোগ বাংলার সরকারের। তার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আগেই নিয়েছে সরকার।
বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো জেলায় বহু অচাষযোগ্য জমিকে কাজে লাগানো হয়েছে। নির্দিষ্টভাবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করেছে সরকার। শিল্প স্থাপনে জমি যেন কোন সমস্যা হয়ে না ওঠে তার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনার রূপায়ণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ রাজ্যের যুবসমাজের আগামী ভবিষ্যতের কর্মনিশ্চয়তার লক্ষ্যে সরকারের এই পদক্ষেপ। সেই লক্ষ্য ও ভাবনা আরও কয়েক কদম এগিয়ে গেল বাণিজ্য সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।