ad
ad

Breaking News

pea

ডাল উৎপাদন আত্মনির্ভরতা সম্ভাবনা এবং সমস্যার কথা

ডাল উৎপাদনে দেশকে স্বনির্ভর (আত্মনির্ভর) করার লক্ষ্যে মাননীয়া অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেট ভাষণে ছয়বছর ব্যপী একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন।

Talking about the possibilities and problems of self-reliance in pulse production

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: অর্ক গোস্বামী: ডাল উৎপাদনে দেশকে স্বনির্ভর (আত্মনির্ভর) করার লক্ষ্যে মাননীয়া অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেট ভাষণে ছয়বছর ব্যপী একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন। মূলত অড়হর, মাসকলাই এবং মুসুর -এই তিন প্রকার ডালের উৎপাদনে দেশের স্বনির্ভরতার জন্য ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ন্যশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সহায়তায় উপরিউক্ত লক্ষ্য অর্জনের স্বার্থে কাজ শুরু করবে।

এই প্রকল্পের দুটি মূল স্তম্ভ হল যথাক্রমে ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ফসল ক্রয় করা এবং ফসল তোলার পরে সরকারি উদ্যেগে ওয়েরহাউসে উৎপাদিত ফসলের যথাযথ সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা। তবে দেশের কৃষিব্যবস্থা বিশেষত ডাল উৎপাদনের সামগ্রিক বাস্তবতাকে বিচার করলে বোঝা যাবে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য যতটা সহজে বলা হয়েছে বাস্তবায়ন ততটা অনায়াস সাধ্য নয়। এক্ষেত্রে অন্তত দুটি সমস্যার সত্বর সমাধান একান্ত প্রয়োজন।

প্রথমত, উপরিউক্ত তিনটে ডালের উৎপাদনে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় প্রথাগত ভাবে প্রতি হেক্টরে ২০ কুইন্টাল অড়হর ডাল উৎপাদন করতে তে ২৪০-২৭০ দিন সময় লাগে যা আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ১৫০-১৬০ দিনে সম্পন্ন হলেও মুগ, মটর ইত্যাদি ডালের ( ৫০-৮০ দিন) তুলনায় সময়সাপেক্ষ। এর ফলে বিপুল সংখ্যক চাষি এই ডাল চাষ করতেঅনিচ্ছুক। বর্তমানে মূলত উত্তর কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া এলাকায় বিকল্প চাষের সুযোগ না থাকায় চাষিরা এই ফসল ফলাচ্ছেন।

দ্বিতীয়, সমস্যাটি হল ডাল সংক্রান্ত কার্যকরী জাতীয় নীতির অভাব। একদিকে যেমন ডাল উৎপাদনে দেশীয় চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, একই সময়ে বিদেশ থেকে প্রায় শূণ্য আমদানী শুল্কে বিপুল পরিমাণ উল্লেখিত তিনটি ডাল আমদানি করা হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য এপ্রিল থেকে নভেম্বর ২০২৪ এ ৩.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশেষ করে ২০২৩-২৪ এর খরা পরবর্তী সময়ে ডাল উৎপাদন যখন আবার গতি পেতে শুরু করেছে সেইসময়ে দাড়িয়ে বিদেশি ডালের সামনে দেশীয় ডালকে যে বৈষম্যমূলক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেই বিষয়টি নীতিনির্ধারক দের মূল্যায়ন করতে হবে এবং প্রয়োজনে যুক্তিযুক্ত আমদানি শুল্ক বসাতে হবে। প্রয়োজনে এর পাশাপাশি সেচ ব্যবস্থায় স্বল্পমূল্যে পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহার, সারে উপযুক্ত ভর্তুকী এবং দেশীয় ডাল সংক্রান্ত গবেষণায় আরো অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।





হাইলাইটস