চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে সক্রিয় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ২০০-র বেশি গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্যের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, যারা পেছনে আছে, যারা প্রোরোচনা দিয়েছে তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। অর্থাৎ পুলিশ যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলেছে তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ঘরছাড়ারা ধীরে ধীরে ফিরে আসছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকলেও তার মানে এই নয় পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। এলাকা জুড়ে গুজবের দাপট এখনও কমেনি বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। জঙ্গিপুরে ধীরে ধীরে দোকানপাট খুলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন এলাকায় চলছে রুট মার্চ। জঙ্গিপুরে শান্তি বজায় আছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মুর্শিদাবাদ অশান্ত হয়ে ওঠে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে সুতি, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। পুলিশকে মার। পালটা লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, পুলিশের গুলি, বিএসএফ নামানো হয়।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যে ছড়িয়ে পড়া অশান্তি রুখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যের ডিজি। সেখানে গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর দফায় দফায় বৈঠক করেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অশান্ত এলাকায় রুটমার্চ করে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া জারি থাকে।
সেই সঙ্গে মানুষের মন থেকে ভয় দূর করার জন্য প্রচার চালাতে থাকে পুলিশ। একদিকে পুলিশ যখন এমন পদক্ষেপ করছে, তখন অন্যদিকে বিরোধী শিবির বিশেষ করে বিজেপি নেতারা নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে দায়িত্বশীল ভূমিকা হওয়া উচিত নেতাদের, সেখানে তাঁরা সেই ভূমিকা পালন না করে পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে দিচ্ছেন। এখানে প্রশ্ন, তা হলে কি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এটা চাওয়া নয়? দায়িত্বশীল ভূমিকা হল, যেখানে আগুন জ্বলে সেখানে জল ঢেলে আগুন নেভানো। বদলে পেট্রল ঢালা নয়।