ad
ad

Breaking News

Patanjali Ayurved

নিজের গুণগানে অন্যকে বদনাম

১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। যদিও দু’জনের কেউই আদালতে হাজির হননি। তাই এবার তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা জারি হল। এর আগে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে রামদেবকে।

Slandering others by praising oneself

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: পতঞ্জলির প্রোডাক্ট ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সারিয়ে ফেলতে পারে। এমন বয়ানে বিজ্ঞাপন দিয়ে কার্যত অ্যালোপ্যাথিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির তরফে। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের দিব্যা ফার্মেসি সংস্থার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে মামলা দায়ের করেছিলেন কেরলের ড্রাগ ইনস্পেক্টর।

অভিযোগ ছিল, ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করা হয়েছে পতঞ্জলির প্রোডাক্ট ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সারিয়ে ফেলতে পারে। সেই মামলায় কেরলের পালাক্কড় জেলা আদালত জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করেছিল দু’জনের বিরুদ্ধে। ১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। যদিও দু’জনের কেউই আদালতে হাজির হননি। তাই এবার তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা জারি হল। এর আগে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে রামদেবকে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন ভাষার মোট ৬৭টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে হয় পতঞ্জলিকে। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেও দেশের বিভিন্ন আদালতে চলতে থাকা মামলায় এখনও বিপাকে রয়েছেন যোগগুরু। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হলফনামায় যোগগুরু রামদেব বলেছিলেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি আদালতের কাছে। এই ত্রুটির জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আদালতকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, একই ভুলের পুনারাবৃত্তি হবে না।

আরও অঙ্গীকার করছি, বিবৃতিতে উল্লিখিত সব কথাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব। অনুরূপ কোনও বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হবে না।’ সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেলেও এখনও দেশের নানা রাজ্যে সেই মামলা চলছে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। এর আগে যোগগুরু রামদেবকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা আসলে বোকামি। চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে।’ করোনার সময় তিনি দাবি করেছিলেন, একের পর এক অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, ওই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের আসল কারণ অনুসন্ধানই করা হয় না। সব মিলিয়ে রামদেবের এই বক্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি দেশের চিকিৎসক সমাজ। যার ফলে তাঁকে ও সংস্থাকে মামলায় জড়িয়ে পড়তে হয়। যে মামলা থেকে রেহাই মিলছে না।