চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: কাজল ব্যানার্জি: ১৯৯৬ সাল থেকে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। পঞ্চম শ্রেণি থেকে স্নাতক স্তর সব ধরনের ছাত্রছাত্রীদেরই পড়িয়েছি। ছাত্রজীবনে নিজের রেজাল্টও খুব একট খারাপ ছিল না। তবু আজও আমার মাঝে মাঝেই মনে সন্দেহ হয়, আমি কি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার পক্ষে উপযুক্ত ছিলাম? কারণ আজও বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ই আমার কাছে বেশ কঠিন মনে হয়। নিজের খামতি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি।
কিন্তু অবাক হয়ে দেখি প্রতিবছর বেশকিছু ছাত্রছাত্রী যারা অনেকটাই পিছিয়ে তারাও নির্দ্বিধায় সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হয়ে যায় এবং পরে তার মাসুল গোনে। এবছর ২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বহু অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের ইতিমধ্যেই একাদশের সায়েন্সের কোচিং-এ ভর্তি করে দিয়েছেন।
আসলে সায়েন্সে কিছু না বুঝলেও কিছু গতে বাঁধা বিষয় পড়লেই প্রোজেক্ট ও প্র্যাকটিক্যাল মিলিয়ে ৩০০ নম্বর উঠে যায়। তাতে ফার্স্ট ডিভিশন হয়তো পাওয়া যায় কিন্তু শেখা কিছুই হয় না। কোনেও প্রতিযোগিতমূলক পরীক্ষায় এঁটেও উঠতে পারে না এইসব ছাত্রছাত্রীরা। অপরপক্ষে এই ধরনের ছাত্রছাত্রীরা কলাবিভাগে পড়লে সেখানে সামনের সারিতে থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সমাজে ‘কল্কে’ পাওয়ার মোহে প্ররোচিত হয়ে এটা হয়তো এক ধরনের আত্মহত্যা।
তবে আমাদের রাজ্যে গত কয়েকবছর ধরে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ঝোঁক কিছুটা কমেছে। হয়তো কিছু অভিভাবক সরল সত্যটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আমাদের রাজ্যে মাধ্যমিকের বিজ্ঞানের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান পাঠক্রমের বিস্তর পার্থক্য। তাই অনেকেই মাধ্যমিকে ভালে ফল করলেও উচ্চমাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল করতে পারছে না। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান পাঠক্রম সর্বভারতীয় বিজ্ঞান পাঠক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তৈরি হয়েছে। অপরপক্ষে মাধ্যমিকে পাশের হার বাড়াতে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিজ্ঞানকে অনেকটাই সংক্ষিপ্ত রাখা হয়েছে। আর এর ফলেই যত ফারাক, যত গলদ!
কিন্তু রাজ্যে বিজ্ঞান পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়াটাও কম উদ্বেগের বিষয় নয়। এভাবে চললে আগামী দিনে সমাজের পরিচালনমূলক কাঠামো বিপন্ন হতে পারে। আমাদের বাঁচতে হলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, গবেষক, বিজ্ঞানী, কৃষি-বিজ্ঞানী, মহাকাশ-বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী সকলকেই দরকার। তাই বিজ্ঞান পাঠে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহী ও কৌতূহলি করে তুলতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান পাঠক্রমকে উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগের অনুসারী হতে হবে। ল্যাব বেসড পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। অথবা অষ্টম শ্রেণি থেকেই বিভাগ বিভাজন কার্যকর করা প্রয়োজন।
এই প্রতিবেদনের প্রথম অর্ধে বিজ্ঞান বিভাগের অনুপযুক্ত শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্ত্তির কথা বলার পর, শেষ অর্ধে বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া কমে যাওয়ার কথা বলার কারণে এই প্রতিবেদনকে অনেকেরই দ্বিচারী মনে হতে পারে। কিন্তু গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হলেই বোধগম্য হবে যে রাজ্যের শিক্ষার মানেরই আসলে অধঃপতন শুরু হয়েছে।
সেই কারণে সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান বিভাগে উপযুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। সেই সঙ্গে সরকারি স্কুলগুলিতে বিজ্ঞান শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির রমরমাও এর জন্য অনেকটাই দায়ী। আবার সরকারি শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতায় নিষেধ থাকায় তাঁরা নিজেদের ধার ও ভার ক্রমশ হারিয়ে ফেলছেন যার ফলে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান শিক্ষার মানও কমতে শুরু করেছে।
যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা, গ্রন্থাগারিক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ এবং সরকারি অফিসেও নিয়োগ আর সেভাবে হচ্ছে না, তাই জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য অভিভাবকরাও কিছুটা বাধ্য হচ্ছেন সন্তানকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করতে।
যেহেতু বর্তমান কর্মসংস্থান বেসরকারি নিয়োগভিত্তিক তাই সেখানে বিজ্ঞান পড়ুয়াদেরই চাহিদা বেশি। তাই বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা-ভালেলাগা, সক্ষমতা বা সামার্থ্য ইত্যাদি সব বিষয়গুলি ক্রমশ অর্থহীন হয়ে পড়ছে। আবার সর্বভারতীয় পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে গিয়ে রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান পাঠক্রমের মধ্যে বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে।
তা হলে এমত অবস্থায় সরকারের কী করণীয়?
১। সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সমস্ত সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগ ব্যবস্থাকে পূর্বের ন্যায় নিয়মিত করতে হবে।
২। কোনেও স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ ফাঁকা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষককে দিয়ে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। একাদশ শ্রেণির নম্বর উচ্চমাধ্যমিকের প্রগতি পত্রে মুদ্রিত রাখতে হবে।
৪। বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে সপ্তাহে তিনদিন পঠন-পাঠন ও বাকি চারদিন ছুটি রাখতে হবে। কিন্তু সেই তিনদিন উপস্থিতি বাধ্যমূলক করতে হবে। কোনেও অবস্থাতেই ৮০ শতাংশের কম উপস্থিতিতে পরীক্ষায় বসা যাবে না।
৫। একাদশের প্রশ্নপত্র উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলকেই করতে হবে।
৬। বছরে প্রতিটি সেমিস্টারে প্রতিটি বিষয়ের উপর কমপক্ষে একটি করে সেমিনারের ব্যবস্থা করতে হবে যে সেমিনারে ক্লাস নেবেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ। এটা তাঁদের ডিউটির অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হবে।
৭। ব্যবহারিক পরীক্ষা বহিরাগত পরীক্ষকের দ্বারা সম্পন্ন করতে হবে।
৮। প্রতিটি সেমেস্টারে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ১৫ দিন করে পাশের বিদ্যালয়ে ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে বিনিময় পদ্ধতিতে।
৯। প্রচলিত বিজ্ঞান বিভাগের পাশাপাশি বেসিক সায়েন্সের ওপরও আলাদা বিভাগ চালু করতে হবে মধ্যমানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। প্রচলিত বিজ্ঞান বিভাগ হবে সর্বভারতীয় পাঠক্রমের অনুসারী এবং বেসিক সায়েন্স হবে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, শিক্ষকতা, অন্য কর্মসংস্থান ও নিজের জীবনযাপন ইত্যাদির অনুসারী।
উচ্চমাধ্যমিক বেসিক সায়েন্স ডিগ্রি হিসাবে অন্যগুলির সঙ্গে সমমর্যাদা পাবে। প্রচলিত বিজ্ঞান বিভাগে শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, গণিত থাকবেই সঙ্গে জীববিদ্যা/স্ট্যাটিসটিক্স/কম্পিউটার সায়েন্স/ডাটা সায়েন্স/আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স/পরিবেশবিদ্যা/ ভূগোল/ অর্থনীতি/ পুষ্টিবিজ্ঞান/ স্বাস্থ্যশিক্ষা এর মধ্যে মধ্যে থেকে যে কোনেও একটি বিষয় নেওয়া যাবে। বেসিক সায়েন্সের ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি প্রশ্নপত্র ও পাঠক্রম একই থাকবে।
এক্ষেত্রেও ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি নিতেই হবে তবে তার পাঠক্রম হবে কিছুটা নমণীয়। গণিত, ও জীব বিদ্যার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, তবে এই দুটি বিষয় নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে না। শিক্ষার্থীরা এগুলি বা এগুলির বিকল্প হিসাবে কিছু জীবনোপযোগী বিষয় (স্ট্যাটিসটিক্স/কম্পিউটার সায়েন্স/পরিবেশবিদ্যা/ ভূগোল/ অর্থনীতি/ পুষ্টিবিজ্ঞান/ স্বাস্থ্যশিক্ষা/ডাটা সায়েন্স/আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) নির্বাচন করতে পারবে। এই জীববিদ্যা ও স্ট্যাটিসটিক্স ব্যতীত বাকি বিষয়গুলির প্রশ্নপত্র ও পাঠক্রম পূর্বোক্ত বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একই থাকবে।
১০। বেসিক সায়েন্সের ক্ষেত্রে একাদশে একবার ও দ্বাদশে একবার বিজ্ঞান কেন্দ্রে শিক্ষামূলক ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে সরকারি অর্থানুকূল্যে। ল্যাবরোটরিতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় নম্বর পিছু ২ মিনিটের বেশি সময় বরাদ্দ থাকবে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা কিভাবে বুঝবে যে, সে প্রচলিত বিজ্ঞান বিভাগের উপযুক্ত কিনা?
ধরা যাক একজন শিক্ষার্থী নিউটনের গতিসূত্র অন্য কোনেও সূত্র প্রথমবার পড়লো। অর্থ বুঝতে পারলো। সূত্র বলতে এবং লিখতেও পারলো। ভালে নম্বরও পেল। এটুকু সক্ষমতা কিন্তু বর্তমান উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান পাঠক্রমে ভর্তি হয়ে সাফল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দেখতে হবে–
১. সূত্রটির গাণিতিক রূপটি সে ভালেভাবে বুঝতে পারছে কিনা।
২. সূত্রটি সংক্রান্ত গাণিতিক সমস্যার সে সমাধান করতে পারছে কিনা।
৩. ওই সূত্রের এমন কোনেও প্রয়োগ যা সে আগে শোনেনি, তা ওই সূত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছে কিনা।
৪. নিজের মনে ওই সূত্র সম্পর্কে অতিরিক্ত জ্ঞানপিপাসা, জিজ্ঞাস্য, কৌতূহল তৈরি হচ্ছে কিনা। প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে পারছে কিনা।
৫. মনে রাখতে হবে গণিত ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারাটা শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তার নির্ণায়ক নয়। আনকমন প্রশ্নের উত্তর যারা সঠিক ভাবে ভাবতে পারে তারাই পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান বিভাগে সফল হয়।
৬. ভৌত বিজ্ঞানের পাঠ্যবিষয়টি মুখস্থ অপেক্ষা যারা ওই বিষয়ের গাণিতিক সমস্যায় বেশি পারদর্শী তারাই বিজ্ঞান বিভাগের উপযুক্ত।
৭. গণিতের ক্ষেত্রে আনকমন সমস্যা সমাধানে দক্ষতা আছে কিনা দেখতে হবে। পাঠ্যসূচির বাইরের অঙ্ক শেখা আগ্রহ আছে কিনা দেখতে হবে।
৮. উপপাদ্যের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ১০টি প্রয়োগের মধ্যে অন্তত ৭টি প্রয়োগ সঠিক ভাবে করতে পারছে কিনা।
৯. জ্যামিতির ওপর গাণিতিক সমস্যায় স্বচ্ছন্দ কিনা।
১০. ক্লাসে অঙ্ক দিলে পারছে না কিন্তু বাড়ি থেকে করে আনতে বললে সঠিক ভাবে করে আনছে, এমন শিক্ষার্থী দ্বারা কিন্তু বিজ্ঞানে সফল হওয়া মুশকিল। যে কোনেও পরিস্থিতিতে সেখানেই অঙ্ক করে দেখাতে পারছে কি না দেখতে হবে।
১১. গণিত বা বিজ্ঞানের কোনেও সমস্যা দ্রুত করতে পারছে না কি অনেক সময় লেগে যাচ্ছে সেটাও বিবেচ্য।
১২. ২০২৫- এর গণিতের প্রশ্নে দেখতে হবে 1(ii),2(ii),4(iii), 4(vii), 4(xi), 5(ii), 7(ii),12(i), 10(ii),13(ii) এই সমস্যাগুলি শিক্ষার্থী পেরেছে কিনা বা পরীক্ষায় বিকল্পটি করলেও বাড়ি ফিরে এইগুলি করতে পারছে কিনা। তবে এগুলি একমাত্র শর্ত নয়।
আবার এ বছরের ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নে ভালে নম্বর পাওয়া থেকে কিছুই বোঝা যাবে না যে শিক্ষার্থীর সক্ষমতা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্ত্তির উপযুক্ত কিনা। আর নবম ও দশম শ্রেণিতে ভৌত বিজ্ঞানের গাণিতিক সমস্যাগুলিকে যারা এড়িয়ে যেতে ভালেবাসে তারা কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান বিভাগের উপযুক্ত নয়। এমনকী উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ভালে নম্বর পেলেও এই সমস্ত শিক্ষার্থীরা কোনেওদিন বিজ্ঞানকে নিজের ‘বাহন’ করতে পারবে না, বিজ্ঞানকে চিরদিন ‘বহন’ করেই চলবে। তাই আরও একবার স্মরণ করাতে চাই জন মিল্টনের সেই বিখ্যাত উক্তটি— ‘স্বর্গে দাসত্ব করার চেয়ে নরকে রাজত্ব করা অনেক ভাল।’
সবশেষে বলবো, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি প্রকৃত ভালেবাসা, নিষ্ঠা আর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে শিক্ষার্থীর পক্ষে অনেক বাধা এবং নিজের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা সম্ভব। রাজ্যের সকল শিক্ষার্থীর প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইলো। প্রত্যেকে নিজের পক্ষে উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন করে উচ্চশিক্ষিত হয়ে জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হও– এটাই কাম্য। সেইসঙ্গে আমাদের রাজ্যের বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণা তোমাদের দ্বারা আরও সমৃদ্ধ হোক।