চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: পহেলগাঁওয়ে নারকীয় জঙ্গি হানার পর গোটা দেশ ফুঁসছে। প্রত্যাঘাতের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমন অবস্থায় চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভারতে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারকেও দেশে ফেরানো হচ্ছে।
ভারতে বর্তমানে যে সমস্ত পাকিস্তানিরা রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলেও জানানো হয়েছে। একদিকে যখন এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তখন সন্ত্রাসবাদীদের করা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হামলাকারীদের ছাড়া হবে না। তাদের এমন সাজা দেওয়া হবে যা তাঁরা কল্পনা করতে পারবে না। এই হামলা ভারতের আত্মার ওপর হামলা। বিহারের মধুবনির সভা থেকে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্তদের এই ভাবে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন সভার আগে নিহতদের প্রতি নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানান মোদি। এদিন সভা থেকে মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর মাটিতে মিলিয়ে দেওয়া হবে। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের কোমর ভেঙে দেবে। বিহারের মাটি থেকে আমি গোটা বিশ্বকে বলছি, দেশ সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করবে। তাদের কড়া শাস্তি দেবে।’ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা করে কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন মোদি।
তারপর বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনী থেকে প্রথমবার প্রকাশ্যে পহেলগাঁও নিয়ে মুখ খুলেই প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, ‘ভারতের আত্মায় আঘাত করার দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, তারা ছাড় পাবে না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক, তাদের খুঁজে বের করে মারবে ভারত।’ সেই সঙ্গে তাঁর আরও ঘোষণা, যারা এই সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, যারা আড়াল থেকে সাহায্য করে, তাদের যেটুকু অস্তিত্ব অবশিষ্ট আছে, সেটাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে দেশ এখন যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে তা পরিষ্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়। তবে দেশের মানুষ দেখতে চায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ। দেশের ওপর বারবার এমন আঘাত আসবে আর তা চুপ করে মেনে নিতে হবে সেটা হতে পারে না।