ad
ad

Breaking News

Food Waste

ভারতবর্ষে বছরে প্রায় সাত কোটি টন খাবার নষ্ট! তবু ক্ষুধার্থ কোটি কোটি মানুষ

সোনার ভারতবর্ষে বছরে প্রায় সাত কোটি টনের মতো খাবার নষ্ট হয়। ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষ এখনও অপুষ্টির শিকার।

Food Waste: Call for Social Awareness, Responsibility

চিত্র: সংগৃহীত

জয়দেব দেবাংশী, সাঁইথিয়া, বীরভূম: খাবার খাওয়া আনন্দদায়ক ঠিকই কিন্তু তা নষ্ট করা অন্যায় অপরাধ ও মহাপাপ। আমাদের সভ্য সমাজে সচ্ছল ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে যেমন বিবাহ, অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, শ্রাদ্ধ, জন্মদিন ইত্যাদিতে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করে নামিদামি বিভিন্ন স্বাদের খাবার পরিবেশন করে থাকেন আত্মীয় কুটুম্ব ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে। গৃহকর্তা মিষ্টি হাসি হেসে বলে থাকেন মোটামুটি খাবার মত হয়েছে তো। নিমন্ত্রিত গণ বলে থাকেন খুব ভাল হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে কর্তার হাসির বহরটা বেড়ে যায় (Food Waste)।

একজন মানুষ প্রতিদিন বাড়িতে ক্ষুধা নিবারণের জন্য যে পরিমাণ খাবার খায়, এখানে এসেও সেই পরিমাণখাবার খেয়ে পেট ভরাবে। শুধু বহু মূল্যবান রকমারি খাবারগুলিকে মুখে দিয়ে স্বাদ আস্বাদন করে থাকেন। আর অতিরিক্ত নামিদামি খাবারগুলি পাতে পরে থাকে, পরে ডাস্টবিনে জায়গা করে নেয়।

ঐদিনই দেখা যায় গ্রামের কোন গরীব মানুষের পাড়ায়, শহরের বস্তিতে বেশ কিছু মানুষের খাবার জুটলো না। ভদ্রবেশী শিক্ষিত বাবুরা এসব করুণ দৃশ্য না দেখার ভান করে চলে যায়। আবার একশ্রেণীর মানুষ বলে থাকেন এসব পূর্বজন্মের কর্মফল তাই ঠিকমতো খেতে পাই না। সোনার ভারতবর্ষে বছরে প্রায় সাত কোটি টনের মতো খাবার নষ্ট হয়। ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষ এখনো অপুষ্টির শিকার (Food Waste)।

অনাহারে বা আধপেটা খেয়ে এখনও কোটি কোটি মানুষ দিনযাপন করে থাকে। সভ্য শিক্ষিত সমাজের কাছে এ বড় লজ্জা ও দুশ্চিন্তার বিষয়। মাঝেমধ্যে সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খাদ্য অপচয়ের, বিরুদ্ধে,মানুষের কাছে সচেতনতা বাণী পৌঁছে দিয়ে থাকে। তেঁতুলডিহি,শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস মিশনে ১৪৩২ সালের বৈশাখ মাস,হতে হাওড়া থেকে আগত এক বিশিষ্ট সমাজসেবী শচীন ভদ্র মহাশয় প্রত্যেক রবিবার দুপুরে ১৫০ জন দুস্থ অসহায়দের পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছেন (Food Waste)।

এই অসহায়রা খাবার খেয়ে খুব তৃপ্তি পায়। এই শচীন বাবুর মতো বিভিন্ন এলাকার চাকুরীজীবী ও ব্যবসায়ীরা যদিএগিয়ে আসেন, তাহলে এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আর ভিক্ষার পাত্র নিয়ে ঘুরতে হয় না পেট ভরানোর জন্য। সরকারের উচিত আইনি ব্যবস্থা কঠোর করে কোন অনুষ্ঠানে ১০০ থেকে ২০০র বেশি বাবু লোকদের, নিমন্ত্রণ করা চলবেনা, এবং নামিদামি খাবার পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং তার আয়োজনের খাবারগুলিকে সমাজসেবী সংগঠনের দ্বারা এলাকার দুস্থদের মধ্যে বিলি বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে বেশ কিছু দুস্থ মানুষ পেট ভরে খেতে পাবে, হাত জোড় করে ভগবানকে বলবে ঠাকুর ওই বাবুদের ভালো রাখুন। আর মন্দিরের দেব-দেবীরা খুশি হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করবে গৃহকর্তাদের।। এর ফলে ১৬ই অক্টোবর খাদ্য দিবস পালিত সার্থক হবে (Food Waste)।