ad
ad

Breaking News

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

প্যালেস্তাইনের জন্য ব্লিঙ্কেনের দুঃখ প্রকাশ! ইজরায়েলের পাশে থাকবে মার্কিন মুলুক?

Bangla Jago Desk: ব্লিঙ্কেন বরাবরই ইসরায়েল সমর্থক। তবে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে যেভাবে কথা বলে আসছে, তাতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্লিঙ্কেনের এই দুঃখপ্রকাশ। ব্লিঙ্কেনের দুঃখ প্রকাশ পরিবর্তনের ইঙ্গিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে জোর গলায় সমর্থন করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষে শুর নরম করতে দেখা […]

Bangla Jago Desk: ব্লিঙ্কেন বরাবরই ইসরায়েল সমর্থক। তবে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে যেভাবে কথা বলে আসছে, তাতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্লিঙ্কেনের এই দুঃখপ্রকাশ। ব্লিঙ্কেনের দুঃখ প্রকাশ পরিবর্তনের ইঙ্গিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে জোর গলায় সমর্থন করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষে শুর নরম করতে দেখা যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে। তবে গত শুক্রবার তাঁর কণ্ঠে ছিল ভিন্ন সুর।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে যেভাবে কথা বলে আসছে, তাতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্লিঙ্কেনের এই দুঃখ প্রকাশ। এ পরিবর্তনের কারণও আছে। অবরুদ্ধ গাজায় দিন দিন বাড়তে থাকা লাশের সারি, বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের হত্যাযঞ্জের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা অসন্তোষ মার্কিন প্রশাসনের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। গত শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘অনেক বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে অনেক বেশি ফিলিস্তিনি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাঁদের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে যা যা সম্ভব তার সবকিছুই করতে চাই। একই সঙ্গে তাঁদের কাছে পৌঁছানো সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে চাই। এই লক্ষ্যগুলো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।’

মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, গাজায় মানবিক সংকট কাটাতে কাজ করছেন তাঁরা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতাও পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছিল, উত্তর গাজায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিকল্পনায় সংশোধন আনতে ওয়াশিংটন যে পরিমাণ চাপ দেবে বলে অনেক মার্কিন কর্মকর্তা প্রত্যাশা করছেন, তা এখনো অর্জিত হয়নি। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এরপরও উপত্যকাটিতে হামলার তীব্রতা কমাচ্ছে না ইসরায়েলের বাহিনী। গত কয়েক দিনে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালেও নিশানা করছে তারা। বাদ পড়ছে না শিশু হাসপাতালও।

এরই মধ্যে নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে না। ৭ অক্টোবর হামাস দুই শতাধিক মানুষকে ধরে নিয়ে জিম্মি করেছে বলে দাবি ইসরায়েলের। পনবন্দিদের মুক্ত করার জন্য বৃহৎ পরিসরে কোনো চুক্তিরও দেখা মিলছে না। পনবন্দি মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পক্ষগুলো আলাপ–আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি চুক্তির দিকে এগোচ্ছে। ওই চুক্তিতে জিম্মিদের বড় অংশের মুক্তির বিনিময়ে দিনব্যাপী ও টেকসই যুদ্ধবিরতির শর্ত থাকতে পারে। এমন কোনো চুক্তি হলে কয়েক দফায় গাজা থেকে পনবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে। মুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে পারেন নারী ও শিশুদের মতো ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা। তবে এমন চুক্তি নিয়ে আলোচনা যেকোনো সময়ে থেমে যেতে পারে বা আলোচনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে মনে করেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

Free Access