চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: ওরা জানতেন না যে ওদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। প্রতিদিনের মতো হস্টেলে (B. J. Medical College) নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শেষ। মাথাও ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। অভিশপ্ত সেই বিমানের এক যাত্রী বাদে সবাই মারা যান। সব থেকে ট্র্যাজিক হল বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের পড়ুয়াদের মৃত্যু। যে ভাবে ওই পড়ুয়াদের মৃত্যু হয়েছে তাতে বলা যায় ‘বেঘোরে মৃত্যু’ ।
সত্যিই ওদের বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে অন্তত আগে থেকে কিছুটা সতর্ক হওয়া যায়। বাঁচার আশা না থাকলেও অন্তত চেষ্টা করা যায় বাঁচার লড়াই চালানোর। তবে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের (B. J. Medical College) পড়ুয়াদের যে ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাতে ওরা বুঝতেই পারেননি কব বিপর্যয়ের শিকার তাঁরা। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে আমেদাবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে।
[আরও পড়ুনঃ Phila Lobi: বাভুমার সাফল্যের পিছনেও রয়েছেন তাঁর রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালকিন বউ]
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেখে হচ্ছে সেখানে আর কোনও দেহ আছে কিনা। জানা গিয়েছে, ওই হস্টেলে অন্তত ২০০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া থাকতেন। দুর্ঘটনার পর সেই জায়গাটি একেবারে বদলে গিয়েছে। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ এখনও পুরোপুরি সরানো যায়নি। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। ফলে কেউ তার নীচে চাপা পড়ে আছেন কি না, বলা যাচ্ছে না।
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/truthofbengal]
ধ্বংসস্তূপ সম্পূর্ণ সরানো গেলে মৃত্যু নিয়ে সরকারি পরিসংখ্যান মিলতে পারে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলে এমন বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার পর মধ্যে বিজে মেডিক্যাল কলেজের (B. J. Medical College) সমস্ত অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা আপাতত বাতিল ঘোষণা করল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় হস্টেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিস্থিতি বিচার করে এবং হস্টেলের ক্ষতির কারণে আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের এখন ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। কবে তাঁরা স্বাভাবিক হতে পারবেন বা আদৌ পারবেন কিনা তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকছে।