ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla jago Desk: দিল্লির দরবারে আবারও উপেক্ষিত,অপমানিত,অবহেলিত বাংলা। নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার নায্য পাওনা চাইতে গিয়ে তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাইক বন্ধ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরে জাতীয় স্তরে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস।মেরুকরণবাদী রাজনীতির চাল চালতে গিয়ে আসলে বিজেপি কোণঠাসা। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন স্ট্যালিন থেকে হরিশ রাওয়াত। নীতি আয়োগের বৈঠকে কণ্ঠরোধের ইস্যু, সংসদ থেকে সংসদের বাইরে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে বিজেপিকে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করার গুরুতর অভিযোগ।বাংলার দাবি পেশ করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়েন বাংলার নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী।যারজন্য তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের সরকারকে মাইক বন্ধের সরকার বলে তোপ দেগেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০মিনিট,অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইদের ইচ্ছেমতো বলার সুযোগ দেওয়া হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ৫মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। সংসদে মহুয়া মৈত্র বা রাহুল গান্ধীকে যেভাবে মাইক বন্ধ করে মুখের কথা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল,একই কৌশল নীতিআয়োগের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্তরে বিতর্ক তৈরি করা মমতার প্রশ্ন,
সংসদীয় গণতন্ত্রে যেখানে বিরোধীদের কণ্ঠ জোরদার হলে বলিষ্ঠ হয় লোকতন্ত্র সেখানে কেন এই দ্বিচারিতা ? কেন বাংলা তার প্রাপ্য ১লক্ষ ৭১হাজার কোটি টাকার দাবি পেশ করতে পারবে না ? কেন্দ্রীয় বাজেটে অন্ধ্র-বিহারের প্রতি কল্পতরু হলেও কেন বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ সেই ইস্যুতেই সোচ্চার বিরোধী শিবিরের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর সাফ কথা, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলা কখনও মাথা নত করেনি, আগামীদিনেও মাথা নত করবে না।রাজ্যের স্বার্থপূরণ করতে মরিয়া মমতা।আর মমতার মাস্টারস্ট্রোকে কার্যতঃ বিজেপি কুপোকাত।বাঙালির আবেগে আঘাত হওয়ায় বাংলার জনগণ গর্জে উঠছেন।
বিজেপির শরিক টিডিপির নেতাও অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু যদি ২০মিনিট সময় পান,তাহলে কেন বাংলাকে ৫মিনিটও বলতে দেওয়া হবে না ? তৃতীয় মোদি সরকারের আমলে এই বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মমতার ঢেউ আছড়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে। সংসদ থেকে সংসদের বাইরে বিজেপিকে তুলোধনা করতে তৈরি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট।মেরুকরণের রাজনীতি লালনপালন করা বিজেপি শক্তি হারিয়েও স্পর্ধা দেখাতে ছাড়ছে না বলে একযোগে সোচ্চার বিরোধীরা। কেন এভাবে বিজেপি আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছ ? কেন দিল্লিশ্বররা দাদাগিরির অহংবোধ দেখাচ্ছে ? একথা জানতে চাইছেন স্ট্যালিন থেকে হরিশ রাওয়াত।সোমবার থেকে সংসদে ইন্ডিয়া জোট যে এই ইস্যুতে আক্রমণের ধার বাড়াবে তা পরিষ্কার।গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়া নরেন্দ্র মোদি আর কবে রাজধর্ম শিখবেন,সেই প্রশ্ন উঠছে জাতীয় স্তরে।